ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন

২৫ হাজার নারী-শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

২৫ হাজার নারী-শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২৫ হাজারেরও বেশি নারী-শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গত বৃৃহস্পতিবার মার্কিন হাউজ আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানির সময় তিনি এ তথ্য জানান।

মার্কিন হাউজ আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানির সময় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের হত্যার পরিসংখ্যান জানতে চাওয়া হয় লয়েড অস্টিনের কাছে। জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েল। এই ঘটনায় ১১২ নিহত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত গাজায় আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৩২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান ও আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা এবং অপুষ্টিতে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য শিশুদের অবস্থাও গুরুতর। ওই দুই হাসপাতালে আরো তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।

গাজায় ত্রাণ বিতরণের সময় মৃত্যুর ঘটনার ‘নিন্দা’ জাতিসংঘ প্রধানের

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উত্তর গাজায় ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি নৃশংস হামলার ‘নিন্দা’ জানিয়েছেন। হামাস বলেছে, এই হামলায় ১১২ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মহাসচিবের মুখপাত্র এই কথা বলেছেন।

খাদ্যের জন্য মরিয়া গাজা শহরের হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি গত বৃহস্পতির দিনের প্রথম দিকে একটি ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টে সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা নৃশংসভাবে সরাসরি গুলি চালিয়ে নিরীহ, ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। ইসরায়েলি একটি সূত্র স্বীকার করেছে, সৈন্যরা ভিড়ের ওপর গুলি চালায়। সৈন্যরা লোকদের এই ভিড়কে তাদের জন্য হুমকি মনে করেছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, অনেক লোক ত্রাণবাহী ট্রাকে চাপা পড়েছে। জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার।

দুজারিক বলেছেন, ‘আমরা জানি না ঠিক কী ঘটেছে। আমরা জানি না ইসরায়েলি বন্দুকের গুলিতে মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে কি-না, তারা ভীড়ের মধ্যে পিষ্ট হয়েছে কি-না কিংবা ট্রাক তাদের চাপা দিয়েছে কি-না, কিন্তু এসব এক অর্থে সহিংসতার জন্য ঘটেছে, এই যুদ্ধের কারণে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ‘জাতিসংঘের কোন উপস্থিতি’ ছিল না এবং জাতিসংঘ মহাসচিব ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির’ আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

দুজারিক বলেন, ‘গাজার মরিয়া বেসামরিক নাগরিকদের জরুরী সাহায্যের প্রয়োজন, যার মধ্যে অবরুদ্ধ উত্তরের লোকেরাও রয়েছে, যেখানে জাতিসংঘ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সহায়তা দিতে পারেনি।’

তিনি বলেন, গুতেরেস ‘সংঘাতের এই মর্মান্তিক মানবিক বিপর্যয় দেখে হতবাক।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত