হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

কারা পাচ্ছে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব!

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

বহুল প্রত্যাশিত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হতে যাচ্ছে অক্টোবরে। তবে টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাবে নাকি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে, সেটি এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে এরমধ্যেই বিমান এবং বেবিচকের ভেতরে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলছে।

সূত্রে জানা গেছে, থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রস্তুতি নিলেও বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জাপানকে এই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমানের কর্মকর্তারা জানান, দেশের সব বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সেবা দিয়ে আসছে বিমান। বার্ষিক আয়ের অর্ধেকের বেশি হচ্ছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে। এখন থার্ড টার্মিনালের দায়িত্ব জাপান পেলে বিমানের বিশাল আর্থিক ক্ষতিতে পড়ার সম্ভাবনা আছে।

থার্ড টার্মিনাল কেন্দ্র করে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্পের কাজটিও শেষ হচ্ছে ৩০ এপ্রিল। যা ২০২২ সালের মার্চে দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পে অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে জাইকা। এই প্রকল্পের অধীন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়াতে আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতি (এসওপি) প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উন্নত প্রশিক্ষণ, সেবা সরঞ্জাম ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ, কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি, র‌্যাম্প সেবার উন্নয়নসহ নানা প্রশিক্ষণ ও নীতিমালা প্রণয়নে বিমানকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে জাইকার বিশেষজ্ঞ দল। এতে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সব ধরনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আপাতত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সেবার মান ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে জাপানি কোম্পানি দায়িত্ব পেতে পারে। ইতোমধ্যে বেবিচক ছয়টি জাপানি কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। সেজন্য থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য একজন লেনদেন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি একটি প্রতিবেদন তৈরি করছেন। সেই প্রতিবেদন এপ্রিলে বেবিচককে দেবেন। প্রতিবেদনে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্টের মধ্যে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদানে আগ্রহী জাপানি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হবে বলে জানা গেছে। কনসোর্টিয়ামটির প্রস্তুত হতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। জাপানি কনসোর্টিয়াম টার্মিনালের অপারেশন পরিচালনা করবে এবং বেবিচক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।

বিমানের কর্মকর্তারা বলছেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের, তবে বর্তমানে সেবার মান আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো হয়েছে। এরপরও থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে পাইয়ে দিতে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তবে দেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সিকিউরিটি স্বার্থে বিমানকে দায়িত্ব দিতে পারে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্তারা। জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালে যাত্রী ধারণক্ষমতা বছরে প্রায় ৮০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরে দুটি টার্মিনালের সঙ্গে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্থান যুক্ত হবে। একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের ভেতরে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। তিনতলা টার্মিনাল ভবনে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপারচার ও ৫৯টি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ডেস্ক এবং তিনটি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক থাকবে। আর টার্মিনালে অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য ৬ হাজার দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর থাকছে। যারা বিমানবন্দরের ভিতরে দীর্ঘপথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। এছাড়াও বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। থাকবে পৃথক একটি স্টেশনও। যাতে যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে গন্তব্যে যেতে পারবেন। টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সাথে একটি টানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। মাল্টিলেভেল কার পার্কিংয়ে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি থাকতে পারবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২৯টি বিমান সংস্থার ২২০ থেকে ২৩০টি ফ্লাইট ওঠাণ্ডনামা করে। এসব ফ্লাইটে গড়ে প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার যাত্রী দৈনিক যাতায়াত করেন। বছরে ১৭ হাজার ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা আয় করে বিমান। তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিং বে-তে নেওয়া যাবে। দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কার্যক্রম বাড়াবে। এতে আকাশপথে যাত্রীদের আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিমানের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু সংস্থাটির সেবার মান নিয়ে যাত্রীরা বরাবরই নানা অভিযোগ করে আসছেন। সেজন্য নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিদেশি কোম্পানির কাছে চলে যাচ্ছে। এরপরও কাজটি পেতে দৌড়ঝাঁপ করছে বিমান। সেই দৌড়ঝাঁপে কিছুটা সফলতা পেয়েছে। কারণ নতুন বিমানবন্দর চালুর ছয় মাস গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে পারে বিমান।

বেবিচকের সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বের যে কোনো বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে করা হয়। কারণ দেশ-বিদেশে যাত্রীদের দৈনন্দিন যাতায়াতে বিমানবন্দরের সিংহভাগ কাজই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিমানবন্দর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের একটি অংশ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং। বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের পর পথ দেখিয়ে পার্কিং বে-তে নেওয়া, দরজায় সিঁড়ি লাগানো, যাত্রীদের মালামাল ওঠানো-নামানো, কোনো লাগেজ হারিয়ে গেলে তা বের করে দেওয়া, উড়োজাহাজের ভেতর পরিষ্কার করা, চেকইন কাউন্টারে সেবার মতো কাজ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যাত্রীদের সেবার পাশাপাশি আর্থিক আয় ওতপ্রতোভাবে জড়িত। তাই সরকার যে প্রতিষ্ঠানকে ভালো মনে করবে, সেই প্রতিষ্ঠানকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেছেন, থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধনের পর ছয় মাসের জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে বিমান পাবে, কিংবা পরবর্তীতে জাপানি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে- এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নেওয়া হয়নি। তবে কারা দায়িত্ব পাবে, বা কোন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।

বিমানের সিইও আরও বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৬০টি ফ্লাইট ওঠাণ্ডনামা করছে। সেখানে সফলতার সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপরও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার জন্য একটি চক্র চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন শফিউল আজিম।

অন্যদিকে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স জাপানি কোম্পানিকে দেবে। পিপিপির মাধ্যমে কোম্পানিটি কাজ করবে। সেজন্য লেনদেন উপদেষ্টা কমিটিও নিয়োগ করা হয়েছে। ওই কমিটি বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনের বিমান চলাচলের ডাটা নিয়ে একটি সুপারিশমালা তৈরি করছে। সেখানে জাপানি কোম্পানি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে কী ধরনের কাজ করবে, কত রাজস্ব আয় করবে এবং আমাদের সঙ্গে কত অংশ রাজস্ব শেয়ার করবে। উপদেষ্টা কমিটি বিস্তারিত গাইডলাইন (শর্তাবলী) দেবে। সেই গাইডলাইনের আলোকে জাপানি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে জাপানি কোম্পানিটি একমত পোষণ করলেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাবে। এরপরও চুক্তি হতে আগামী জুলাই কিংবা আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধনের পর স্বল্প সময়ের জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি বিমানকে দিয়ে করানো হবে। কারণ আমাদের আইনে বলা আছে- যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো সংস্থার মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করাতে পারব। সুতরাং জাপানি কোম্পানি যখন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাবে তখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে- উন্নত সেবা ও রাজস্ব আয় বাড়ানো। রাজস্ব আয় বাড়াতে হলেই বেশি উড়োজাহাজ ও যাত্রী আসতে হবে। যাত্রীদের ভালো সেবা দিতে হবে। এখন পর্যন্ত যাত্রীদের ভালো সেবা দিতে পারিনি, যা আমাদের ব্যর্থতা।

তিনি আরও বলেন, জাপানি কোম্পানি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি পেলে বিমানকে দিয়েও করাতে পারে কিংবা যাকে খুশি তাকে দিয়ে করাতে পারে। আমরা চাই ভালো সেবা। কারণ এয়ারলাইন্সগুলো আমাদের কাছে জানিয়েছে- বিমানের সেবায় তারা সন্তুষ্ট নন। সেখানে বেবিচকের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার প্রত্যাশা, জাপানিরা যাতে এয়ারলাইন্সগুলোর চাহিদা পূরণ করে। উন্নত সেবা দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। গত বছরের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালটি আংশিক ব্যবহারের জন্য খুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিডিউল অনুযায়ী ৫ এপ্রিল তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষে ৬ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। সব প্রস্তুতি শেষে চলতি বছরের অক্টোবরে পুরোদমে কার্যক্রমে আসবে নতুন এই টার্মিনাল।