ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান চলাচল বন্ধ থাকে

অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান চলাচল বন্ধ থাকে

মার্চের নবম দিন আজ। ১৯৭১-এর এ দিনটিতেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছিল আন্দোলন-সংগ্রামের বারুদে ঠাসা। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দিনও সচিবালয়সহ সারা দেশে সব সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, আদালতে পালিত হয় সর্বাত্মক হরতাল। হরতাল কর্মসূচির মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে কার্যক্রম চলে ব্যাংকসহ জনপরিসেবা নিশ্চিতের দায়িত্ব পালন করা কিছু সংস্থার। বাস, ট্যাক্সি, রিকশার মতো গণবাহনগুলোও হরতালে বিনা বাধায় চলাচল করে। লঞ্চ ও ট্রেনও চলে স্বাভাবিকভাবে। তবে অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান চলাচল বন্ধ থাকে। খোলা থাকে দোকানপাট, হাটবাজার। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত আন্দোলনে একাত্ম্যতা প্রকাশ করার মানসে জনসাধারণ নিজ নিজ বাসগৃহে উড়ায় সবুজ জমিনের মধ্যে পূর্ণ সূর্যের ওপর বাংলাদেশের মানচিত্রের পতাকা। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মধ্যে টেলিফোনে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় একই দিন প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় ধরে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে বিকালে পল্টন ময়দানে জনসভায় তুমুল করতালির মধ্যে অশীতিপর ন্যাপ নেতা মওলানা ভাসানী ঘোষণা করেন- ইয়াহিয়া অনেক হয়েছে, আর নয়। তিক্ততা বাড়িয়ে আর লাভ নেই। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করে নাও। তবে ইসলামাবাদে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়- আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে যাবেন। পরে গভীর রাতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী লে. জেনারেল টিক্কা খানকে ‘খ’ অঞ্চলে (বাংলাদেশ) সামরিক শাসক নিয়োগ করে। জানানো হয়, এ নিয়োগ ৭ই মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে ৬ মার্চ তাকে পূর্বাঞ্চলে (বাংলাদেশের) গভর্নর নিয়োগ করা হয়। সে অনুযায়ী ৭ই মার্চ সামরিক বিমানে ঢাকায় আসেন টিক্কা খান। তবে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ঢাকায় হরতাল পালিত হওয়ায় প্রধান বিচারপতি বিএ সিদ্দিকী নবনিযুক্ত সামরিক গভর্নরের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত