ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিএনপি

বললেন ওবায়দুল কাদের
রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিএনপি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বাস্তবতা বুঝতে না পারায় রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিএনপি। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশের রাজনৈতিক যে বাস্তবতা, এই বাস্তবতার সঙ্গে বিএনপির মতো একটা দলের যোগাযোগ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি দেশের মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে পারছেন না। এজন্য রাজনীতিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি। রাজনীতিতে প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনার হাতেই এদেশের গণতন্ত্র নিরাপদ মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। আজকে এটাই বাস্তবতাণ্ডতার হাতে যতদিন আছে দেশ; পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তিনি বাংলাদেশের বাস্তবতা বোঝেন। মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝতে পারেন।

বিএনপির সমমনাদের সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে সহিংসতা নিয়ে প্রসঙ্গে সহিংসতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমমনস্করা যদি ষড়যন্ত্র করে, সন্ত্রাস করে, তার সঙ্গে বিএনপি’র সংশ্লিষ্টতা নেই এটা মনে করার কারণ নেই। সন্ত্রাস যেখানে আছে, বিএনপি সেখানে আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নিজস্ব একটা হিসাব নিকাশ আছে এবং পশ্চিমী বিশ্বের অ্যালায়েন্স, সে অ্যালায়েন্স রক্ষা করার বিষয়টি আছে, তারা কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, এখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তারা তাদের সুরেই কিছুটা সুর মিলিয়েছে। তবে আমরা গুরুত্ব দিব মার্কেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে কি বলেছেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তাছাড়া মানদ-ের বিষয়টি একেক জনের কাছে একেক রকম। বাংলাদেশে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই নির্বাচনের মানদন্ড যদি খুবই তলানিতে গিয়ে পৌঁছত; তাহলে আজকে ইউরোপে ইউনিয়ন, ওয়াশিংটন হাউসের প্রশংসা সূচক মন্তব্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। আমাদের মানদ-ে ঠিক আছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় নির্বাচনের মানদ- ঠিক আছে। রিয়ালিটর সাথে আমাদের কন্টাক আছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। জানান, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ ২৩১টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ভোট পড়েছে গড়ে ৬০ শতাংশ। নির্বাচন মোটামুটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু হওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই নির্বাচনে অনেক জায়গায় বিএনপি নেতারা অংশ নিয়েছেন। কিছু নেতা জয়লাভও করেছেন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছিলনা। এই নির্বাচনের পরও বিএনপির মুখে নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো কথা বলার যৌক্তিকতা থাকে না। তারা যত দোষ নন্দ ঘোষ- এ ধরনের একটা আচ্ছন্ন মানসিকতায় ভুগছে এবং সেটাই তারা করে যাচ্ছে। এ সময় সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের কোনো বৈঠক হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনেছি তারা সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু কারো সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। বিএনপি’র মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রাখে বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কোনো দুঃখে? এটা তো মামা বাড়ির আবদার!

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত