টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনা

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সততার শিক্ষা দিতে হবে

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সততার শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে ছোটবেলা থেকে শিশুদের ভেতরে যেন মানবিক গুণাবলি বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। পাশাপশি শিশুদের ভেতরে যে সুপ্ত মেধা আছে, সেই মেধা মনন বিকাশের সুযোগ যেন তারা পায় সেদিকেও দেখবেন।

গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের লেখাপড়া খুবই দরকার কিন্তু লেখাপড়ার নামে তাদের ওপর কোনোরকম চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমরাই এখন চাচ্ছি খেলাধুলার মধ্যদিয়েই শিশুরা তাদের লেখাপড়া শিখবে, যাতে তার ভেতরের সুপ্ত মেধাবিকাশের সুযোগ পায়। সেই ভাবে আমরা কারিকুলাম তৈরি করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন তো শিশুরা বিশ্বটাকে সামনে দেখতে পায়। ক্লাসে শুধু বই পড়া না চোখে দেখে শিখতে পারে। আর এর পরে তারাই হবে এক স্মার্ট বাংলাদেশের এক স্মার্ট নাগরিক। সেটাই আমরা চাই। আজকের শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে’ যথার্থ প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই আমার দেশের প্রতিটা শিশু নিরাপদ জীবন পাক, সুন্দর ও উন্নত জীবন পাক সেটাই আমার কাম্য।

তিনি বলেন, আজকের শিশুরা ডিজিটাল যুগের। কাজেই ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ করার। এ শিশুরাই তো একদিন এই প্রযুক্তির ব্যবহার শিখবে। আমাদের যে স্মার্ট বাংলাদেশ; সে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা অর্থাৎ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব আজকের শিশুরাই দেবে। আর সেটাই তো আমাদের লক্ষ্য। সেইভাবে আমরা তাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বাংলাদেশটাকে একটা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজকের শিশুদের কাছে আমার অনুরোধ, গুরুজনদের মানতে হবে, শিক্ষককে মানতে হবে, বাবা-মার কথা শুনে চলতে হবে। বাবা-মার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। তাহলে কেউ বিপথে যেতে পারবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে দূরে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা দিতে হবে। সততা এবং আন্তরিকতা থাকলে যে কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। গান-বাজনা লেখাপড়া, ধর্মীয় শিক্ষা, ছবি আঁকা থেকে শুরু করে সব ধরনের কারিকুলাম এর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। পাশাপাশি

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আজকে বিশ্বব্যাপী আমরা দেখি অনেকেই শিশু অধিকারের কথা বলে, শিশু শিক্ষার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু আমরা এটিও দেখি যে পাশাপাশি একটি দ্বিমুখী কার্যক্রম। ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের উপর যখন বোমা ফেলা হয়, হত্যা করা হয়, হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়, ফিলিস্তিনের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়, তখন আমি জানি না এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে; কোথায়? তাদের সেই মানবিকতা বোধ কোথায় থাকে? সেটাই আমার প্রশ্ন? আমরা যুদ্ধ চাইনা, আমরা শান্তি চাই। কারণ, যুদ্ধের সেই ভয়াবহতা আমরা নিজেরাও দেখেছি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। তাইতো আমার প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে যখন মানুষের ওপর অত্যাচার হলো, শিশুরা আহত অবস্থায় ছিল। তারা যখন আশ্রয় চাইল আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আজকে গাজায় শিশুদের যে অবস্থাটা দেখি, নারীদের যে অবস্থাটা দেখি আমি জানি না বিশ্বের বিবেক কেন নাড়া দেয় না- সেটাই আমার প্রশ্ন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা যখন ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর সরকার গঠন করি, তখন আমাদের শিশুদের সব রকম সুরক্ষা দেওয়ার পদক্ষেপ নেই। আমরা ২০০৭ সালে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইন করে শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করি। তাছাড়া ২০১০ সালে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১, আমরা প্রণয়ন করি। আমরা শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করি, ২০১৮ সালে সেটাকে আবার সংশোধন করে শিশুদের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। আমরা শিশুর উন্নয়ন ও স্বাভাবিক জীবন একীভূত করার লক্ষ্যে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। এছাড়া শিশুদের জন্য শিশু সদন প্রতিষ্ঠা, প্রাথমিক বৃত্তিমূলক শিক্ষাদান কর্মসূচি, সারা বাংলাদেশে শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রাইমারি স্কুল ২ কিলোমিটার এর মধ্যে যেন একেকটি প্রাইমারি স্কুল হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে মাত্র ৪৫ ভাগ শিশু লেখাপড়া করত আজকে আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায় পড়াশোনা করে এবং সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। বিশেষ করে মেয়েরা তো স্কুলে যেতে পারত না, তাদের জন্য আমরা সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল মাত্র ০.৮ ভাগ এটি এখন বাড়িয়ে ১৭.৮৮ ভাগে উন্নীত করতে পেরেছি। এছাড়া আরো যেন ভালো কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং পায় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। স্কুলগুলিতে আমরা কম্পিউটার ল্যাব করেছি, কম্পিউটার শিক্ষা এবং ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রযুক্তির শিক্ষাটা যেন শিশুকাল থেকে পায় সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংখ্যা আমরা বাড়িয়েছি।

ছোটোবেলা থেকেই শিশুদের রাস্তায় চলার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে পারে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে পারে সেই শিক্ষা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিভাবকসহ সকল মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দেওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন, যাতে তারা কোন দুর্ঘটনার শিকার হতে না পারে। এজন্য আইন এবং রাস্তায় চলাচল সম্পর্কে সম্যক শিক্ষা প্রদান করা একান্তভাবে দরকার। পাশাপাশি শিশুদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষা দিতে হবে। অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে কেউ যেন দুর্ব্যবহার না করে বরং সহানুভূতিশীল দৃষ্টি দিয়ে দেখে তাদের যেন আপন করে নেয় সেজন্য ও ছোটবেলা থেকে শিক্ষা দিতে হবে। যেকোনো অপচয় রোধ করা তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই তাদের মানুষের মতো মানুষ এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সব সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আমাদের একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে এদেশের মানুষের প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করা, নারী শিক্ষার সুযোগ, নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। আজকে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে যা কিছুই করি সব ভিত্তি তিনি করে দিয়ে গেছেন। শিশুদের সুরক্ষার জন্য শিশু আইন তিনি প্রণয়ন করেন এবং শিশুদের জন্য তিনি এমন ব্যবস্থা করে যান যেন কোনো শিশু অবহেলিত না থাকে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, জাতির পিতার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত থেকে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আর সেই সময় ১৫ আগস্টের আঘাত এলো। এরপর আর বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্মগ্রহণ করেন। এই মাটিতেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন বাবা-মায়ের কবরের পাশে। আজকে এখানে আমরা জাতীয় শিশু দিবস পালন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমরা একটা জিনিস চাই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রীমি), সচিব নাজমা মোবারেক। শিশু বক্তা তায়্যেবা তাসনীমও স্বাগত বক্তৃতা করেন। অপর শিশু পিয়াসা জামিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আব্দুর রহমান এবং লামিয়াতুল বারী শিশুদের এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে জাতির পিতার ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও পরে ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর পবিত্র সুরা ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তারা। দোয়া-মোনাজাত শেষে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে রক্ষিত মন্তব্য বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানানোর পর দলীয় প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি, শেখ হেলালুদ্দীন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাইম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতারা। বিকাল ৩টা ১৭ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।