ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নামাজ মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা

নামাজ মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা

গোটা বিশ্ব এখন ছোট্ট একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে, বিশ্ব এখন যুবক তরুণদের হাতের তালুতে। মোবাইল সেটে গুগলে ক্লিক করার সাথে সাথে দুনিয়ার সবকিছু হাতের তালুতে হাজির। এ যেন আলাদিনের চেরাগ। যুবক বন্ধুদের বলব, আপনারা অনেক কিছুই দেখেন ইন্টারনেট সার্চ করে। একবার চেষ্টা করলে বুঝতে পারবেন, মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে আমি আপনি কত ভাগ্যবান। নামাজের কথাই ধরুন। আমরা আল্লাহর ইবাদত হিসেবে নামাজ পড়ি। অন্য ধর্মবলম্বীদেরও নিজেদের পূজা অর্চনা বা প্রার্থনার রীতি নিয়ম আছে। ইবাদত পূজা অর্চনা প্রার্থনার মূল কথা হলো, যাকে সৃষ্টিকর্তা বা সর্বশক্তিমান মনে করা হয়, তার কাছে নিজেকে সঁপে দেয়া, আত্মনিবেদন করা। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীগণ কীভাবে পূজা অর্চনা বা প্রার্থনা করেন, ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে তা দেখার চেষ্টা করুন। তাহলেই তুলনা করতে পারবেন, মহান সৃষ্টিকর্তার সামনে নিজেকে সঁপে দেয়ার পদ্ধতি হিসেবে নামাজ কত উত্তম।

নামাজ মানে আল্লাহর সামনে হাজির হওয়া। সাধারণত পুলিশ অপরাধীদের ধরে নিতে হাতকড়া লাগায়। নামাজে বান্দা স্বেচ্ছায় ডান হাতের কব্জির উপর বাম হাতের কড়া লাগিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হয়।

সৃষ্টিজগতের সব প্রাণি, তরুলতা নিজ নিজ ভাষায় আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা ও গুণগান করে। গাছেরা সারাক্ষণ দণ্ডায়মান অবস্থায় আল্লাহকে ডাকে। চতুষ্পদ জন্তু নত অবস্থায় আল্লাহর তসবিহ পাঠ করে। আর সরিসৃপ জাতীয় সৃষ্টিরা মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে আল্লাহর গুণগান গায়। কিন্তু মানুষকে আল্লাহ শক্তি দিয়েছেন, সে সব সৃষ্টির অবস্থা ধারণ করে দাঁড়ানো, নতমস্তক হয়ে ও সিজদায় লুটে আল্লাহর গুণগান ও পবিত্রতা বর্ণনা করতে পারে। নামাজে দাঁড়ানো রুকু ও সিজদার অবস্থান চিন্তা করুন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত