ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

একদিনে তিন স্থানে আগুন

সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকে

সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকে

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। রমজানের দিনে আগুন নেভানোর কাছে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের কর্মীরা। গতকাল একদিনেই রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে একযোগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এর আগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে দুই শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি বস্তিবাসীদের। এ আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকে। তাদের মধ্যে একজন লিমা হিজড়া।

তিনি বলেন, আমরা ১০ জন হিজড়া দুটি ঘরে বসবাস করতাম। আগুনের সময় আমাদের কয়েকজন ঘরেই ছিল, আর বাকিরা বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে আমরা এসে দেখি আমাদের ঘরসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা ভিক্ষা করে অনেক কষ্ট করে একটি একটি করে জিনিসপত্র কিনেছিলাম। আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা যাব কোথায়? রাতে যে কোথায় ঠাঁই নেব, সেই জায়গাটিও আমাদের নেই।

লিমার মতো আফরোজাও তার সর্বস্ব হারিয়েছেন এ আগুনে। তিনি বলেন, আগুনের সময় ঘরের ভেতরে ছিলাম। প্রথম যখন একটি দোকানে আগুন লাগে তখন দৌড়ে ঘর থেকে বের হই। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। ভেতর থেকে কিছুই আনতে পারিনি। আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? শুধুমাত্র লিমা বা আফরোজা নয়, তাদের মতো প্রায় ২০০ মানুষের সবকিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। বস্তিতে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ঘর ছিল। যার মধ্যে ২০০’র উপরে ঘর পুড়ে গেছে। আগুন এত দ্রুত চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে যে, কেউই ঘর থেকে কোনো আসবাবপত্র নিয়ে বের হতে পারেনি।

কড়াইল বস্তিসহ নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়া কাঁচাবাজারে গত রোববার ভোরে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরমধ্যেই দুই শতাধিক দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি সুপারবোর্ড কারখানায় আগুন লাগে। গতকাল রোববার দুপুর ১টা ১০মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আগুনের খবর পায়। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত