ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জিম্মি নাবিকদের ঈদের আগে ফেরানোর চেষ্টা

জিম্মি নাবিকদের ঈদের আগে ফেরানোর চেষ্টা

ভারত মহাসাগরে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে মালিকপক্ষ। দুই সপ্তাহ ধরে এ বিষয়টি নিয়ে উৎকন্ঠায় দিন পার করছে নাবিকদের পরিবার ও স্বজনরা। সূত্র জানায়, সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি করে রাখা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগেই ফেরানোর চেষ্টা করছে। জাহাজের মালিকপক্ষ। নাবিকরা যাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগভাগি করতে পারেন সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মালিকপক্ষ।

জানা গেছে, আর্ন্তজাতিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জলদস্যুরাও বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করতে চায়। ফলে ঈদের আগেই রফা করতে চায় জলদস্যুরাও। তবে, কি পরিমাণ অর্থ লেনদেন হবে সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

জিম্মিদশার দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। নাবিকদের পরিবার ও স্বজনরা নানা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। প্রায় প্রতিদিন নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে পরিবারের। গত ২০ মার্চ দুপুর থেকে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে জাহাজের মালিকপক্ষের। জাহাজের ক্যাপ্টেনের মাধ্যমে মালিকপক্ষের যোগাযোগ হচ্ছে বলে একটি মূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে আমাদের ২৩ নাবিককে ঈদের আগেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। নাবিকরা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারেন সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পুরোনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জাহাজে থাকা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। মূলত সোমালি পুলিশ, ইইউ’র নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ঘিরে থাকাসহ নানা পরিস্থিতির কারণে জলদস্যুরা চাপে আছে। তবে, আমাদের চাওয়া-পাওয়া হচ্ছে আমরা ২৩ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আনা ও জাহাজ উদ্ধার করা। জলদস্যুদের চাহিদা কী সে বিষয়ে এখনও আলাপ আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে কোনো অগ্রগতি হলে আমরা অবশ্যই মিডিয়াকে জানাব। প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করা আছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনো বাংলাদেশি জাহাজ জলদস্যুদের অপহরণের শিকার হলো। এর আগে ২০১০ সালে একই কোম্পানির এমভি জাহান মণি জাহাজটি সোমালিয়ার জলসদ্যুরা ছিনতাই করেছিল। ওই সময় জাহাজে ২৫ ক্রু এবং ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ মোট ২৬ ব্যক্তি ছিলেন। মুক্তিপণ দিয়ে ১০০ দিন পর জাহাজসহ তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত