ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গণপূর্ত অধিদপ্তরে নীতিমালা ভেঙে পদোন্নতি

বিসিএস প্রকৌশলী ক্যাডারে ‘বঞ্চনা ও অসন্তোষ’

বিসিএস প্রকৌশলী ক্যাডারে ‘বঞ্চনা ও অসন্তোষ’

প্রশাসন ক্যাডারে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও বছরে বছরে হয় পদোন্নতি। তবে প্রকৌশলীদের ক্যাডার পদ থাকলেও পদোন্নতি আটকে থাকে শর্তের বেড়াজালে। সেই বেড়াজাল নিরসন করে প্রকৌশলীদের পদোন্নতি দেয়া হলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরে ‘মানা হচ্ছে না নীতিমালা’। ফলে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের বঞ্চনার তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমানে বিসিএস প্রকৌশলীদের কাছে পদোন্নতির চেয়ে মর্যাদার সংকট প্রকট আকারে ধারণ করেছে।

বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন প্রকৌশলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রশাসন ক্যাডারের তুলনায় প্রকৌশলীদের পদোন্নতি কম হয়। আবার প্রকৌশলীদের পদোন্নতি দিলেও সেখানে ডিপ্লোমা বা প্রমোটি প্রকৌশলীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন। তাদের শূন্যপদের চেয়ে বেশি পদোন্নতি দেওয়া হয়। এতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাপে বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা কোণঠাসা অবস্থা। এমন বিশৃঙ্খলা চলতে থাকলে বিসিএস দিয়ে প্রকৌশলী হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। সেজন্য সরকারকে এখনই এ ধরনের সমস্যা নিরসন করতে হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮১ অনুযায়ী বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী পদে দুইটি পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়। প্রথমটি-সরাসরি নিয়োগ (দুই-তৃতীয়াংশ), দ্বিতীয়টি- পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ যা এক-তৃতীয়াংশ দেওয়া যাবে। কিন্তু ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদের চেয়ে অতিরিক্ত পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পদের চেয়েও অতিরিক্ত প্রমোটি কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। উল্টোদিকে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত তাদের শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি বা নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রকৌশলীদের পদোন্নতির তালিকা বিশ্লেষক করে দেখা যায়- সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে পদসংখ্যা ২৯৬টি। এরমধ্যে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পদ ১৯৭টি। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বা পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পদ সংখ্যা ৯৯টি। সেখানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিসিএস নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী পদে ১১৩ জন এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বে ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে বিসিএস প্রকৌশলীদের জন্য ৩৪টি পদ ফাঁকাই রয়ে যায়। অন্যদিকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ৯৯টি পদের বিপরীতে সহকারী প্রকৌশলী ৬৮ জন এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বে ৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নির্ধারিত শূন্যপদের চেয়েও অতিরিক্ত ৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

একই বছরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই/এম বিভাগে প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সহকারী প্রকৌশলীদের (ই/এম) জন্য পদসংখ্যা ১২৪টি। এখানে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পদ ৮৩টি। এরমধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৮০ জন। অন্যদিকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বা পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পদসংখ্যা ৪১টি থাকলেও কর্মরত আছেন ৫১ জন। নির্ধারিত পদসংখ্যার চেয়ে ১০ জন প্রমোটি সহকারী প্রকৌশলী বেশি কর্মরত আছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেখা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সিভিল বিভাগে ১৯৭টি পদের বিপরীতে ১১৩ জন সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বে ৫০ জনকে দেওয়া হয়। যেখানে ৩৪টি পদ ফাঁকাই রয়ে যায়। অপরদিকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত ৯৯টি পদের বিপরীতে সহকারী প্রকৌশলী ৯১ জন এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বে ৩৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা নির্ধারিত পদসংখ্যার অতিরিক্ত ২৫ জন প্রমোটি সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) কর্মরত আছেন। একই অবস্থা ই/এম বিভাগে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত ৮৩টি পদসংখ্যার বিপরীতে সহকারী প্রকৌশলী ৫৬ জন এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বে ২৪ জন কর্মরত আছেন। অন্যদিকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ডিপ্লেমা প্রকৌশলীদের নির্ধারিত ৪১টি পদের বিপরীতে সহকারী প্রকৌশলী ৪২ জন এবং উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বে ১৪ জন কর্মরত আছেন। নির্ধারিত পদ সংখ্যার অতিরিক্ত ১৫ জন নিয়োগ পান।

শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে ৩৮তম বিসিএস দিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান সিরাজুল সালেকীন (ছদ্মনাম)। চাকরিতে যোগদানে নিজে এবং পরিবারের সদস্যরা খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তবে সেই খুশি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। চাকরিজীবনের মাত্র তিন বছর পর এসে তার কাছে গণপূর্তের প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেওয়া বিষাদের মতো লাগছে। সেজন্য সুযোগ পেলেই ক্যাডার পরিবর্তন করবেন। এরইমধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত কয়েকজন প্রকৌশলী ক্যাডার পরিবর্তন করে প্রশাসনের উপ-সচিব পদ বেঁছে নিয়েছেন। আরও অনেকেই বিসিএস প্রকৌশলী ক্যাডার পরিবর্তন করে প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে সিরাজুল সালেকীন বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রমোটি প্রকৌশলীদের রাজত্ব দিন দিন বাড়ছে। ডিপ্লোমা পাস করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) হিসেবে যোগদান করে তারা কয়েক বছর যেতে না যেতেই ৯ম গ্রেডে ক্যাডার পদে সহকারী প্রকৌশলী হয়ে যাচ্ছেন। এতে করে এক-তৃতীয়াংশ প্রমোশনের নিয়ম মানা হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে গণপূর্ত অধিদপ্তরে অধিকাংশই প্রমোটি প্রকৌশলী থাকবে, যারা ডিপ্লোমা পাস করে চাকরিতে যোগ করেন।

তিনি বলেন, বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার সময় সার্কুলার দেওয়া হয় কম, যাতে ডিপ্লোমাদের বেশি বেশি প্রমোশন দেওয়া যায়। ২০২১ সালে একই বছরে আমরা ফেব্রুয়ারিতে চাকরিতে যোগদান করি আর তারা (ডিপ্লেমা প্রকৌশলী) ডিসেম্বরে প্রমোশন পেয়ে সহকারী প্রকৌশলী হোন। গ্রেডেশন লিস্টে তারা আমাদের সিনিয়র হিসেবে আছেন। এই নিয়ে আমাদের আগের ব্যাচ (৩৭তম বিসিএস প্রকৌশলী) হাইকোর্টে মামলা করেছে। সেই মামলা চলমান। কারণ ৩৭তম বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে ফেব্রুয়ারিতে যোগদান করেও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা একই বছরে ডিসেম্বরে প্রোমোশন পেয়েও জ্যেষ্ঠতা দাবি করেন যা এন-ক্যাডারমেন্টের ক্ষেত্রে চাকরি বিধিমালা পরিপন্থি। ন্যায্য অধিকারের প্রাপ্যতা বঞ্চিত ৩৭তম বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডার প্রকৌশলীরা।

বিসিএসে প্রিলি, লেখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস দিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রকৌশলী ক্যাডারে যোগদান করি। আমাদের চাকরি স্থায়ী হয় ২ বছর পর। আর ৬ মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ও বিভাগীয় পরীক্ষায় পাস করতে হয়। অথচ তারা (ডিপ্লোমা প্রকৌশলী) প্রমোশনের পর ২ মাসের একটা স্পেশাল ট্রেনিং করেই নিজেদের বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডার হিসেবে পরিচয় দেন। আবার আমাদের সিনিয়র। এটা বড় লজ্জার। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলে মনে করেন সিরাজুল সালেকীন।

প্রকৌশলী ক্যাডারে পদোন্নতি কম হওয়া এবং মর্যাদার সংকট প্রকট হওয়ায় অনেকেই এখন বিসিএসে তাদের জন্য নির্ধারিত কারিগরি পেশার ক্যাডার ছেড়ে প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারের চাকরির দিকে ঝুঁকছেন। প্রকৌশলীদের সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় বিসিএসে তারা অনেকেই পেশা বদল করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাপ ও প্রশাসন ক্যাডারে দ্রুত পদোন্নতি হওয়ায় জুনিয়রদের অধীনে বিসিএস প্রকৌশলীদের কাজ করতে হয়। এখানে পদোন্নতির চেয়েও মর্যাদার সংকট প্রকট।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, সহকারী প্রকৌশলী পদের ৩৩ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার কথা থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত ব্যতিরেকে সরাসরি এনক্যাডারমেন্ট বৈধ কিনা এটি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিসিএস প্রকৌশলী ক্যাডারের অনেকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য বিভাগে ৯ম গ্রেডের পোস্ট ৩৩ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হলেও সরাসরি তাদের বিসিএসে এন-ক্যাডার হওয়ার নজির নেই। উদাহরণ হিসেবে বিসিএস প্রশাসন, আনসার ও তথ্য ক্যাডারে পদোন্নতির আদেশ হয় ক্যাডার বহির্ভুতভাবে অথবা উক্ত পদে পদোন্নতির বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও সরাসরি ক্যাডারভুক্তি করা হয় না। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতির মাধ্যমে উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বিসিএস ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরে এক কর্মকর্তা বলেছেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাপে অতিরিক্ত পদোন্নতি দেওয়া ঠিক নয়। এই ব্যর্থতার দায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও সংস্থাপনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তারা যদি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাপের কাছে মাথানত করেন, তাহলে ওই চেয়ারে বসে থাকার যোগ্যতা নেই। কারণ অতিরিক্ত পদোন্নতি দেয়া বেআইনি কাজ। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন, তখন নামের সাথে বিসিএস প্রকৌশলী লিখেন। অথচ তারা বিসিএস প্রকৌশলী নয়।

তিনি আরও বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরে ৩৭তম এবং ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অবিচার করা হয়েছে। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। আমি মনে করি এটি গণপূর্তে প্রশাসনিক অদক্ষতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাছে বিসিএস প্রকৌশলীরা কোণঠাসা এবং চাপ সৃষ্টি করে শূন্যপদের চেয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা বেশি পদোন্নতি নিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ‘নিয়মের বাইরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে, আমার জানা নেই’। এ ব্যাপারে আর কোনো কথা বলতে চান না প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। বিএসসি প্রকৌশলীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এসএম মনজুরুল হক মঞ্জু আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ৩৩ শতাংশ এনক্যাডারভুক্তের সুযোগ রয়েছে। যেটাকে আমরা প্রমোটি বলি। কোনো প্রতিষ্ঠানে ৯০টি শূন্যপদ থাকলে পদোন্নতির মাধমে ৩০টি পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নিয়োগ পান, বাকি ৬০টি পদে বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী প্রচুর আছে। সহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেয়ে অনেকেই নিজের নামের সঙ্গে বিসিএস প্রকৌশলী লিখেন। পদোন্নতির পর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কিংবা বিসিএস প্রকৌশলীর পার্থক্য কেউ আর করেন না। কারণ একজন বিসিএস প্রকৌশলী নিয়োগের পর ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হন, আবার আরেকজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবে চাকরিতে যোগদানের পর পদোন্নতি পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হন। এখানে দুজনই নির্বাহী প্রকৌশলীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন। নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দুজনের একই কাজ। প্রকৌশলীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে লবিং কিংবা চাপ সৃষ্টি করে শূন্যপদের চাইতেও বেশি পদোন্নতি নিচ্ছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। শূন্যপদ আছে ৩০টি, পদোন্নতি নিচ্ছে ৪০টি পদে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে মনে করেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত