ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন জয়

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন জয়

একাত্তরের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে চালানো নৃশংস গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাধীনতা দিবসে করা এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার একটি এই ঘটনা (২৫ মার্চ)। পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায়নি, যা মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থনকারী বিশ্বশক্তির বিবেকের এক স্পষ্ট ব্যর্থতা। তিনি তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চের মধ্য রাতে কুখ্যাত অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ঢাকায় এক ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করে। গণহত্যা, সন্ত্রাসের কারণে শহরে ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতার উদ্দীপ্ত শিখা নেভাতে পাকিস্তানি সেনারা দেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সাহসী মানসিকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যে পরিণত করে। নিরস্ত্র হলেও তাদের হত্যা করা হয়। এমনকি তাদের যথাযথ দাফনও করা হয়নি। তিনি লেখেন, বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক সেই ঘটনা পরবর্তীতে প্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সার্বভৌমত্ব, জাতীয়তা, ভাষা ও সংস্কৃতির আন্দোলনের কারণে পাকিস্তানি সেনারা ভয়ে ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেই ভয় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভয়ের বিষয়টি বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দুই পাকিস্তানি অফিসারের মধ্যে পাঠানো একটি বার্তার মাধ্যমে। ‘বড় পাখি খাঁচায় আছে’। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীকে সমর্থনকারী বাহিনী এখনো আমাদের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে সক্রিয়। আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে ক্রিয়াশীল। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থনের জন্য তারা ব্যর্থ হয়েছে। সবশেষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লিখেন- আসুন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। আমাদের বীর যোদ্ধারা যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন দেশকে তাদের স্বপ্নের মতো বিশ্বের জন্য একটি মডেলে রূপ দেওয়ার অঙ্গীকার করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত