ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

একনেকের বৈঠকে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেই বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন সরকার প্রধান।

গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কী সুবিধা মিলবে আর কী চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো নিয়ে এখন থেকেই তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া, যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেসব প্রকল্পে দ্রুত অর্থছাড় করে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, একনেক সভায় মিশরে চ্যান্সারি হাউস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের সেবাদানের জন্য বুথ ও অপেক্ষার জায়গা রাখার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, বাংলাদেশের সব জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁত বোর্ডের নতুন কমপ্লেক্সে নারীদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সব উপজেলার নদীভাঙন রোধ, রাস্তাঘাট নির্মাণে ভাঙনের ঝুঁকি মাথায় রেখে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। একনেক সভায় নতুন ১০টি প্রকল্প উত্থাপন করা হয়েছে। তারমধ্যে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৩টি। কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ৫টি। আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ১টি। শিল্প ও শক্তি বিভাগের ১টি। তা ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ১টি ও একনেকে অবগতির জন্য ২টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।

ভৌত অবকাঠামো বিভাগের তিনটি প্রকল্পের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিশরে কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত)। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদণ্ডবালিয়াদী বর্ডার (এন-৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ ও প্রস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।

কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) ও ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাসমূহের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) এবং প্রোমোটিং রেজিলেন্স ফর ভালনারেবল থ্রট এক্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (তৃতীয় পর্যায়)। আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)। শিল্প ও শক্তি বিভাগের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁতে বোর্ড কমপ্লেক্স স্থাপন। মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের বাংলাদেশ বেতার শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (প্রথম পর্যায়) তৃতীয় সংশোধিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত