ধামরাইয়ে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত নারী

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাকে-মুখে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাই থানার চররাজাপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও হত্যা চেষ্টার আসামিদের গ্রেপ্তার পারেনি। নারীর ওপর এমন পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়ে বলে বেড়াচ্ছে পুলিশ তাদের কেশার্ঘ ছুতে পারবে না। রক্তাক্ত ও গুরুত্বর আহত নারী এখন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি গতকাল ২৮ মার্চ ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন চৌহাট ইউনিয়নের চররাজাপুর বংশী নদীর পাশে ঘটে। আহত গৃহবধূর উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া ছেলে জিদান জানান; গ্রামের লিখন, ইমরান রতন, রোকন, রোমান, রফিকুল ইসলাম কেতু ও কলিম উদ্দিনসহ নাম না জানা অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন যারা কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত, তারা আমার মায়ের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপায়। এ সময়ে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে গুরুত্বর আহত হন। দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আমাদের মসজিদ নির্মাণকাজে বাধাগ্রস্ত করে। যে মসজিদ নির্মাণে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে, সেটি আমাদের দাদা মোতোয়াল্লি ছিলেন। তার আগে তার বাবা মৌলভী ফজলুল করিম ছিদ্দিকী ছিলেন। মসজিদটির নাম রাজাপুর মধ্য চেরাগী জামে মসজিদ। এটি সরকারি ওয়াকফ এস্টেট তালিকাভুক্ত। বিগত সময়ে একাধিকবার নদীর ভাঙনের কারণে মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘসময় পর নদীর চর জেগে উঠলে এলাকায় লোকজন ঘরবাড়ি তৈরি শুরু করে। এমতাবস্থায়, ওয়াকফ এস্টেট থেকে জানানো হয়, রাজাপুর মধ্য চেরাগী জামে মসজিদের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে; কিন্তু অন্য কোনো জায়গায় এ মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। আমরা সে পরামর্শ মেনেই উল্লেখিত স্থানের জমিতে সব নিয়মকানুন মেনে আমার প্রবাসী বাবার দেওয়া টাকা দিয়ে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করতে গেলেই ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদ করায় উপস্থিত পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি আমার ওপর এমন নৃশংস বর্বর হামলা নির্যাতনকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করছি। সন্ত্রাসীরা কোনোভাবেই যেন রেহাই না পায়, তার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।