সমগ্র ইসলাম ত্রিশটি অংশে সীমাবদ্ধ। তন্মধ্যে দশটি সূরা বাকারায়, দশটি সূরা আহযাবে এবং দশটি সূরা মু’মিনূনে বর্ণিত হয়েছে। মুসলমানদের জন্য যেসব জ্ঞান ও কর্মগত ও নৈতিক গুণ অর্জন করা দরকার, তার সবই এ তিনটি সূরার কয়েকটি আয়াতে সন্নিবেশিত হয়েছে-
সুরা তাওবায় উল্লিখিত দশটি গুণ
সুরা তাওবায় মু’মিনদের গুণাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে মুসলমানের দশটি বিশেষ লক্ষণ ও গুণ এভাবে বর্ণিত হয়েছে :
‘তারা হলেন তাওবাকারী, ইবাদতকারী, প্রশংসাকারী, রোজাদার, রুকু সিজদাকারী, সৎ কাজের আদেশদানকারী, অসৎ কাজে বাধা-দানকারী, আল্লাহর নির্ধারিত সীমার হেফাজতকারী; এহেন ঈমানদারদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।’
-(সূরা তাওবা : আয়াত -১১২)
সুরা মু’মিনুনে উল্লিখিত দশটি গুণ
‘নিশ্চিতরূপেই ঐসব মুসলমান কৃতকার্য, যারা নামাজে বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করে, যারা অনর্থক বিষয় থেকে দূরে সরে থাকে, যারা নিয়মিত যাকাত প্রদান করে, যারা স্বীয় লজ্জাস্থানের হেফাজত করে; তবে আপন স্ত্রী ও যাদের উপর বিধিসম্মত অধিকার রয়েছে তাদের ব্যতীত। কারণ, এ ব্যাপারে তাদের অভিযুক্ত করা হবে না। যারা এদের ছাড়া অন্যকে তালাশ করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী, যারা স্বীয় আমানত ও অঙ্গীকারের প্রতি লক্ষ্য রাখে, যারা নামাজসমূহের প্রতি যত্নবান রয়েছে অর্থাৎ নামাজকে হেফাজত করে, এমন লোকেরাই উত্তরাধিকারী হবে। তারা জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারী। সেখানে তারা অনন্তকাল বাস করবে।’
-(সুরা মু’মিনুন, আয়াত ১-৯)
সুরা আহযাবে উল্লিখিত দশটি গুণ
‘নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, আনুগত্যকারী পুরুষ ও আনুগত্যকারী নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদিনী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনয় অবলম্বনকারী পুরুষ ও বিনয় অবলম্বনকারীনী নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীলা নারী, রোজাদার পুরুষ ও রোজাদার নারী, লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী পুরুষ, লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী নারী, অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকিরকারী পুরুষ ও অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকিরকারিনী নারী, তাদের সবার জন্য আল্লাহ তা’আলা মাগফিরাত ও বিরাট পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।’
-(সুরা আহযাব, আয়াত-৩৫)