ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ১ এপ্রিল ২০২৪ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হবে। দিবসটি উদযাপনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে (গু ঐবধষঃয, সু ৎরমযঃ) যার ভাষান্তর করা হয়েছে ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার আয়োজন, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সমস্যার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। এছাড়া সরকার স্বাস্থ্যখাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে জনগণের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল ২০২৪ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসাসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছ। স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে সেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনের বছরে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া দেশের সব জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পর্যায়েও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়। প্রতি বছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত