ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস

ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটির পর গতকাল খুলেছে সরকারি অফিস-আদালত। প্রথম কর্মদিবসে সকাল থেকেই অফিসে আসতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের উপস্থিতি ছিল কম।

সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম। অনেকে আবার দেরি করে অফিসে আসতে দেখা যায়। ছুটির পর চাকরিজীবীদের আনাগোনা কম থাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর ভবনের নিচে গাড়ি রাখার জায়গা অনেকটাই ফাঁকা ছিল। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে জানা গেছে, সচিবালয়ে কর্মরত চাকরিজীবীদের মাঝে কেউ কেউ ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের সঙ্গে বাড়তি দুয়েক দিনের ছুটি নিয়েছেন। সেজন্য গ্রাম ছেড়ে অনেকেই কর্মক্ষেত্রে আসেনি। তবে আগামী রোববার ও সোমবার থেকে সচিবালয় সেই চিরচেনা ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কক্ষেই কর্মকর্তারা নেই। কোনো কক্ষে চার থেকে পাঁচজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বসার ব্যবস্থা থাকলেও দেখা গেছে দুয়েকজন ছাড়া বাকিরা সব ছুটিতে আছেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন। অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ে নিজ কক্ষে আসেননি। তবে যারা ছুটি শেষে সচিবালয়ে কর্মক্ষেত্রে এসেছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একে অপরের সঙ্গে করেন কোলাকুলি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে অনেকটাই ঈদের আমেজ থাকে। যারা দূর-দূরান্তে ঈদ করতে যান, তারা সাধারণত ঈদের ছুটির বাইরেও আলাদা করে ছুটি নেন। তাই সাধারণত দুই ঈদের পর সচিবালয়ে উপস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুদিন সময় লেগে যায়। তাই এবার সচিবালয় স্বাভাবিক হতে আগামী সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, এবার ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্ম উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এবার বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) ছিল ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। পরের দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের ছুটি। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ থাকে। তাই সচিবালায় দর্শনার্থীদের আনাগোনাও ছিল না।