ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল

পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রতিবারের মতো এবারো বাংলা নববর্ষ পালিত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ দিনটি পালন করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। বাদ্যের তালে তালে গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের লোকজ উপকরণ পালকি, পুতুল, রঙিন প্ল্যাকার্ড মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। নববর্ষ উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল প্রমুখ। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশে দেখবেন ঐতিহ্য লালন করা হয়। বিভিন্ন দেশে তাদের পুরোনো দালানকে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।

যদি কোনো সংস্কার দরকার হয় সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করা হয়, কারণ তারা বোঝে পুরোনো জিনিসের কদর। আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা স্বাধীনতাবিরোধী, বাঙালি সত্তাবিরোধী, তারা পহেলা বৈশাখকে অপসংস্কৃতি বলে অভিহিত করে। এ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অভিন্ন অংশ। যতদিন পৃথিবীতে বাঙালি থাকবে, ততদিন পহেলা বৈশাখ এভাবে পালন করা হবে। সকাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। শিল্পীরা ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানে গানে বরণ করেন বাংলা নববর্ষকে। নাচে-গানে জমজমাট ছিল পুরো শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংগীত দল, চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি, ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সংগীত ভবনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত