ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিজিপি’র সদস্যদের খোঁজ নিলেন বিজিবি’র ডিজি

বিজিপি’র সদস্যদের খোঁজ নিলেন বিজিবি’র ডিজি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের খোঁজখবর নিতে পরিদর্শনে এসেছেন বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন ও বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রিত জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজ খবর নেন বিজিবির মহাপরিচালক। পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা বাহিনীর পালিয়ে আসার স্পটগুলোর খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

পরিদর্শনে কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও তার অধিনস্থ বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমান্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন ঢোকেন। এরপর দুপুরে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে আসে আরো একজন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরো পাঁচজন ঢোকেন। আর সবশেষ রাত ১১টার দিকে সীমান্ত পিলার ৪৪ এবং ৪৫ দিয়ে ঢুকে পড়ে আরো ৫০ জন। এ ৬৮ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কতজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এরা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনিয়ে গত ৩ দিনে মোট ৮৪ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনাসদস্য পালিয়ে আসেন। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির আর ১৪ জন সদস্য। নতুন করে আসা ৩৪ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এনিয়ে মোট ২১৪ জন ওখানে রয়েছেন। আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরো ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরো ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত