ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জটিল হচ্ছে বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি

পরীক্ষা বর্জনেই কি অর্জন সম্ভব!

পরীক্ষা বর্জনেই কি অর্জন সম্ভব!

ঈদুল ফিতরের ছুটির পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) খুলেছে বুধবার। তবে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষায় অংশ নেন মাত্র ৮ জন। বাকি ১ হাজার ২৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করেন। পরের দিন গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা। তবে এ পরীক্ষায় অংশ নেননি কেউ। বুয়েট সূত্র জানায়, ২২তম ব্যাচে বর্তমানে সক্রিয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩০৫ জন। তাদের মধ্যে একজনও পরীক্ষার হলে উপস্থিত হননি। অর্থাৎ, শতভাগ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা বর্জন করেন। রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৯টা। নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার কক্ষগুলোতে যান পরীক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শূন্য থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরীক্ষার কক্ষ থেকে তারা বেরিয়ে যান। গত ৩০ মার্চ প্রথমবারের মতো টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ১৮ ও ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন। পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে অটল তারা। ২৭ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। পরে ছাত্রলীগের একজন নেতার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে জানান হাইকোর্ট। আদালতের আদেশের পর ছাত্রলীগ বুয়েটে কমিটি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি বন্ধ রাখার দাবিতে নিজেদের অবস্থানে অটল। একই অভিমত ও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরাও। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বুয়েটে রাজনীতি বন্ধ রাখতে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এখন পর্যন্ত তারা হাতে পাননি। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট।

অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খানের ভাষ্য, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোর্টের কোনো অর্ডার পাইনি। যতটুক জানতে পেরেছি, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত কোর্ট বন্ধ রয়েছে। হয়তো এরপর অর্ডারটি হাতে পেতে পারি। হাইকোর্টের আদেশটি হাতে পেলে আমরা দেখব, সেখানে কী বলা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘২০১৯ সালে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে বিজ্ঞপ্তিটি ছিল, সেই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করা হয়েছে নাকি বলা হয়েছে যে, স্থগিত করা হলো অথবা কেন বাতিল করা হলো কিংবা কেন স্থগিত করা হবে না? নিশ্চয়ই হাইকোর্ট আমাদের কারণ দর্শাবেন। যদি কারণ দর্শানো হয়, তখন কনটেন্ট-মেরিট দেখে আমাদের উত্তর দিতে হবে। এ উত্তর না দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ এটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ।’ বুয়েটের এ উপ-উপাচার্য বলেন, ‘বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে, বুয়েট কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে চাইছে। এটি আসলে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতেই আমাদের অবশ্যই রেসপন্স করতে হবে। আইনি যে প্রক্রিয়া রয়েছে, এটি শেষ অবধি আমরা কনটেস্ট করব। আপিল বিভাগে যাব, আপিল করব। সেখানে আমরা একা নই, আমাদের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইরা থাকবেন।’ ২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তবে গত ২৭ মার্চ বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ২৯ মার্চ থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি করে শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান দেন। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ রাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিল করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। পরে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইমতিয়াজের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সেই জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। এতে ক্যাম্পাসে আবার ছাত্ররাজনীতি চালুর প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি চান না বলে সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। তাদের সঙ্গে একমত বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও। দেশের সবোচ্চ বিদ্যাপিঠ লাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীত থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা অনেক হয়েছে। দেশের সেবা মেধাবীদের এই প্রতিষ্ঠানকে ছাত্র রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য একটি মহল জোরাল যুক্তি তুলে ধরছেন। তারা বলছেন, অতীতে ছাত্র রাজনীতির চরম মূল্য দিতে হয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে লাশ হয়ে বাড়ি যাওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা আর কিছুই হতে পারে না। যে পরিবারের একটি সন্তান বুয়েটে পড়তে এসে অপরাজনীতির শিকার হয় সেটা পরিবারের জন্য নিদারুণ কষ্টের। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে রাজপথ থেকে আইন-আদালত কোনো কিছুই বাদ যায়নি। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিতে কোনো প্রকার বাধা নেই, এমনটা নিদেশনার দেয়ার পর অবশ্য বুযেটের ভিসি বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা শিরোধার্য। তবে পক্ষে-বিপক্ষে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। বুয়েটকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখলে সেই স্থান মৌলবাদী মনোভাবাপন্ন ছাত্ররা দখল করে নেবে এমন আশঙ্কা থেকে বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বুয়েটের ছাত্র রাজনৈতিক চর্চার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পক্ষান্তরে বুয়েটের ছাত্ররা বিজ্ঞানমনস্ক, তারা কেন মৌলবাদ চিন্তা-চেতনায় আচ্ছন্ন থাকবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বুয়েটের ছাত্ররা চিন্তা-চেতনায় প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক ও বাহক হবে এটাই স্বাভাবিক। গত মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তার জায়গায় নতুন করে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমিন সিদ্দিককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুয়েটের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো। গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেয়া ৬টি দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল- ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া। অবশেষে সেটাই হল। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে এবং নিরপেক্ষ এই তিনটি মতামত পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসে ফের ছাত্র রাজনীতি চালু হোক, তা চান না বুয়েট শিক্ষক সমিতি। ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থীরাও অনুরূপ মতামত পোষণ করেন। বুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের বিশেষায়িত শিক্ষাজীবনি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, তারা লেখাপড়ার বাইরে আর কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার মতো সময় পায় না। মন-মানসিকতায় তারা অনেকটা রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব বোধ থেকে বিবর্জিত। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে জারি করা যে প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন, তার বিরুদ্ধেও বুয়েট প্রশাসনকে আপিল করতে জরুরিভিত্তিতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষকরা। ৮ এপ্রিল বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মঞ্জুর মোরশেদের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে উদ্ভূত ঘটনাগুলোতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা ইত্যাদি আমাদের সবার দায়িত্ব।

বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ছাত্র রাজনীতির নামে বুয়েটে অপরাজনীতি না করার দাবি জানানো হয়েছে। তবে বুয়েটে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্র রাজনীতি নতুন করে চালু করার পক্ষে দাবি তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক চর্চা করা ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালু করেছে, সেটি কালো আইন। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাম করে প্রগতিশীল চর্চাকে বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে? বুয়েটে মৌলবাদী গোষ্ঠী রয়েছে, তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে? বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা অস্বীকার করছে তারাই চেষ্টা করছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য।’ বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি এবং শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বুয়েটে যেমন অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত, তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে বলব, সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়। পরিশেষে, বলা যেতে পারে বুয়েট ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার মাধ্যমে তারা কি অর্জন করতে পারবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি চলবে কি চলবে না, সে ব্যাপারে শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসার কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত