ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবৈধ লেনদেনে শিক্ষক নিয়োগ

ইবির ৪ অধ্যাপককে দুদকে তলব

ইবির ৪ অধ্যাপককে দুদকে তলব

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত শনিবার দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে চার অধ্যাপকের নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্ন তালিকায় বর্ণিত শিক্ষকদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। অতএব, নিম্ন তালিকায় বর্ণিত শিক্ষকদের তাদের নামের বিপরীতে উল্লেখিত তারিখ দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানকার্যে সহযোগিতা করার নিমিত্ত বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করতে আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। চার শিক্ষক হলেন- অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান ও জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।

তাদের মধ্যে আজ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা ও ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলামের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। আগামীকাল আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান ও জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলামের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে দুদক কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে। এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, দুদকের চিঠি হাতে পেয়েছি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ড সাক্ষাৎকার হয়। সাক্ষাৎকার শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ারের মতবিরোধ দেখা দেয়। তাই চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বের হয়ে যান তিনি। এ ঘটনার পর বিভিন্ন সময় ইবি ভিসির দুর্নীতি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপসহ নানা অভিযোগ এনে ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দেন চাকরিপ্রার্থী শাহবুব আলম। পরে ১ জুলাই অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে দুদক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত