ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রী কাল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন

স্বাক্ষর হবে পাঁচটি দলিল
প্রধানমন্ত্রী কাল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল থেকে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক সফর করবেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি-সমঝোতা স্বাক্ষর হবে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষর হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে- অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, পর্যটন সহযোগিতা-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শুল্ক-সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য লেটার অব ইনটেন্ট।

আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। একই সঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একই দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংর্কন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাউহুয়া ও রানি সুধিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণার সঙ্গে বৈঠক করবেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনএসক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি দলিলে স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র। চুক্তিটি হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত। এছাড়া জ্বালানি সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক; পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; এবং শুল্ক-সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক হতে পারে।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়; বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট পর্যটন প্রচারণা, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে। পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময়মতো যোগদান করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত