ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওবায়দুল কাদের

চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচন বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত

চিহ্নিত অপশক্তি নির্বাচন বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত

একটি চিহ্নিত অপশক্তি দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করতে নির্বাচনবিরোধী অপতৎরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত প্রচারণামূলক প্রচারপত্র বিরতণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। শুধু দেশে নয়, বাইরেও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার আছে, ষড়যন্ত্র আছে এবং নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকার পরও, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও অবিরাম আমাদের নির্বাচনের বিরুদ্ধে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি একটি চক্র অপপ্রচার-মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন; এটা আমাদের আহ্বান। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৫ বছর স্থিতিশীল সরকার ছিল বলে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। খুনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বন্ধ হয়েছে। গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা ছিল বলে এমন উন্নয়ন হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশবিরোধী অপশক্তি বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং সেটাই আমাদের গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত। সেই ষড়যন্ত্রে খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল এবং এই ষড়যন্ত্রে পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বে দিয়েছে, খুনিদের নিরাপদে বিদেশ যেতে দিয়েছে, তাদের দুঃসাহস দিয়েছে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মতো দুঃসাহস ওদের থাকত না।

বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা জানেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এদেশে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকে বিএনপি বড় বড় কথা বলে, আমি এই কথাটা বলতে চাই, আমাদের নেত্রীকে ২০বার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অন্তত ২০বার তার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। খালেদা জিয়া এবং বিএনপির প্রথম সারির কোনো নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের হুমকি ছিল সেটা দেশের কারও জানা নেই। এখানে শেখ হাসিনাই বারবার টার্গেট।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা কেউ বলতে পারবে না, আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেছে। হত্যা রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না, সেটা বাংলাদেশের রাজনীতি আওয়ামী লীগ বারবার প্রমাণ করেছে। আওয়ামী লীগ কাউকে হত্যা করে ক্ষমতার রাজনীতিকে চিরস্থায়ী করতে কখনো চেষ্টা করেনি। আমরা এ কথা স্বীকার করেছি যে, অতীতে আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে। যে ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আওয়ামী লীগের আছে। এটা কিন্তু আমরা স্বীকার করেছি, আমাদের নেত্রী তার বক্তব্যের মধ্য দিয়েও স্বীকার করেছেন। গণতন্ত্র হত্যা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাই গণতন্ত্র হত্যার সূচনা করেছে এ স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড, যোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুনের রাজনীতি বন্ধ করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত