ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিদ্যুতে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা

তাপপ্রবাহে লোডশেডিং নিরসনের উদ্যোগ

* গরমে রাজধানীতে লোডশেডিং কম হলেও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে
তাপপ্রবাহে লোডশেডিং নিরসনের উদ্যোগ

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সেই চাহিদা পূরণে নিয়মিত কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গরমে রাজধানীতে লোডশেডিং কম হলেও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) বলেছে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ কম সরবরাহ পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। চলমান লোডশেডিংয়ের বিপর্যয় দূর করতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম চালাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার রাত ৯টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়। এ সময় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতিতে নতুন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ খাত।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে গত কয়েক দিন বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। তাপমাত্রা বাড়ায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়েছে, ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এতে ঢাকার বাইরে লোডশেডিং বাড়ছে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় স্বস্তি ফিরবে মানুষের।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (ডিপিডিবি) সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সিংহভাগ জ্বালানি আমদানিনির্ভর। সেখানে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরেকটু কম খরচ হয়। তবে তেল ও গ্যাসের তুলনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে কম খরচ। সেজন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ার সেলের সর্বশেষ তথ্য মতে, কয়লাভিত্তিক পরিকল্পনাধীন ও বাস্তবায়নাধীন কয়লাভিত্তিক মেগা প্রকল্পের তালিকায়- মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট, আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট, বিপিডিবি ও সিঙ্গাপুর জয়েন্ট ভেঞ্চারে মহেশখালী ১২০০ মেগাওয়াট, মহেশখালীতে আরেকটি ১৩২০ মেগাওয়াট, বিপিডিবি ও টিএনবি মালয়েশিয়া জয়েন্ট ভেঞ্চার মহেশখালী ১২০০ মেগাওয়াট, বিপিডিবি ও সিএইডিএইচকে চায়না জয়েন্ট ভেঞ্চার মহেশখালী ১২০০ মেগাওয়াট, বিপিডিবি ও কেপকো, কোরিয়া জয়েন্ট ভেঞ্চার মহেশখালী ১২০০ মেগাওয়াট এবং এনডব্লিওপিজিসিএল এবং সিএমসি, চায়না জয়েন্ট ভেঞ্চার পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট। গরমের মৌসুমে বিদ্যুতের বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে এভাবেই রক্ষা পেতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

জানা গেছে, দেশে ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। গ্রিডভিত্তিক স্থাপিত কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক ১১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৪৩ শতাংশ। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ৬ হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ২৪ শতাংশ। ডিজেলভিত্তিক ৮২৬ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ৩ শতাংশ। কয়লাভিত্তিক ৪ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট, যা মোট সক্ষমতার ১৭ শতাংশ। হাইড্রো ২৩০ মেগাওয়াট বা সক্ষমতার ১ শতাংশ। এছাড়া অনগ্রিড সৌরবিদ্যুৎ ৪৫৯ মেগাওয়াট, যা মাত্র ২ শতাংশ। এছাড়া আমদানি করা হচ্ছে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বা ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ।

বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিভাগের বড় দুই প্রকল্প ঘিরে মহেশখালীর মানুষ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রর দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন সফল হয়েছে। ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের (এনএলডিসি) চাহিদা মতো ইউনিটটি ৬০০ মেগাওয়াটের পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে। অন্যদিকে মহেশখালীতে টেস্টিং কমিশনিং শেষ হয়েছে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনালের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের বড় দুই প্রকল্প ঘিরে মানুষ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে। মহেশখালীর বাসিন্দা জগলুর আলী বলেন, লবণ চাষের জায়গায় বড় প্রকল্প হয়েছে। লবণ চাষে লাভ কম। বিদ্যুৎকেন্দ্র, সমুদ্রবন্দর হলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন বদলে যাবে। মহেশখালী স্পিডবোট ঘাটে অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন আব্দুল কালাম। তিনি বলেন, সাগরের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তাদের প্রতিদিন চলতে হয়। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা থাকলে বা পেশা পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে তিনি অবশ্যই সেই চিন্তা করতেন। মাতারবাড়িতে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে উঠেছে। সেখানে একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল গড়ে উঠলে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখন তাদের এলাকার প্রায় সব মানুষ চিন্তা করছেন, এ ধরনের প্রকল্প তাদের জীবন বদলে দেবে।

মাতারবাড়িতে সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এর বাইরে সেখানে একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল গড়ে উঠবে। সব কিছু মিলিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে মাতারবাড়ি কেবল এই অঞ্চলের ভাগ্যই বদলে দেবে, তা নয়। বরং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। এরই মধ্যে মাতারবাড়ি মহেশখালীর উন্নয়ন প্রকল্পে চীন ও জাপান বিনিয়োগ করছে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল খননে ঋণ দিয়েছে জাপান কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। অন্যদিকে চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনাল।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ১৮ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট থাকায় এখন ৮০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার কয়লার জাহাজ নোঙর করতে পারে। দেশের অন্য কোনো সমুদ্রবন্দরে এত গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে না। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরটির মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র তো বটেই, ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে।

সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বয়াটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে সমুদ্রের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। মুরিংটি ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী এলাকায় নির্মিত স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। আমদানি করা অপরিশোধিত তেল এবং ডিজেল পরিবহনকারী জাহাজ থেকে পাম্প করে পাইপলাইনের মাধ্যমে স্টোরেজ ট্যাংকগুলোতে জমা করা হবে। পরবর্তী সময়ে স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাম্প করে ক্রুড অয়েল ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের অপর দুটি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে পাঠানো হয়।

সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক শরিফ হাসনাত বলেন, প্রকল্পটির সব কাজ শেষে কমিশনিং হয়েছে। এখন এটি দিয়ে তেল খালাস করা হচ্ছে। সাগরের অনেক নিচ দিয়ে পাইপলাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের এই অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন ছিল।

বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে বড় নজর রয়েছে সরকারের। সেজন্য ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বাপেক্সের অধীনে থাকা ক্ষেত্রগুলোতে ২০টি কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে সংস্কার কূপ বা ওয়ার্কওভার কূপ দুটি, অনুসন্ধান কূপ ৯টি ও উন্নয়ন কূপ ৯টি। চারটি কূপ খনন করা হবে শ্রীকাইলে, ভোলার নর্থে ৪টি, ভোলার শাহবাজপুরে দুটি এবং সেমুংতাংয়ে দুটি। বাকিগুলো ফেঞ্চুগঞ্জ, নোয়াখালীর চরজব্বারপুর, শরীয়তপুর ও জকিগঞ্জে। শুধু বাপেক্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে ২০টি কূপ খনন করলে ৪ বছরে অন্তত ২৮ কোটি লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে।

বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের (বিজেএফসিএল) নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্ষেত্রগুলোতে ৪ বছরে ১২টি কূপ খনন করা হবে। এতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে ১৭ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র তিতাসে সাতটি কূপ খনন করা হবে। বাকি পাঁচটি খনন করা হবে বাখরাবাদণ্ড১, কামতাণ্ড১ ও ২, মেঘনা ও হবিগঞ্জ-৬।

সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় থাকা ক্ষেত্রগুলোতে ১৪টি কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে সংস্কার কূপ রয়েছে আটটি বাকি ছয়টি অনুসন্ধান কূপ। কৈলাশটিলা, বিয়ানীবাজার, রশীদপুর ও সিলেট ক্ষেত্রগুলোতেও কূপ খনন করা হবে। এটি দেশের পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র। এতে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে। এছাড়া রশীদপুর-১৪, কৈলাশটিলা-৯ ও বাতচিয়াতে-১ উত্তোলন কূপ এবং রশীদপুর-৭ ও কৈলাশটিলা ১/৩ দুটি ওয়ার্কওভার কূপ খনন করা গেলে অন্তত ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রীষ্মকালের আগেই ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। সেই টার্গেট বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। গত সোমবার রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য বড় অর্জন বলে মনে করছে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এর আগে রোববার রাতে পিক আওয়ারে ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। আগের বছর ২০২৩ সালে গরমের সময় ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছিল। বছরের পর বছর নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জ্বালানির অর্থ জোগানে কড়া পদক্ষেপ নেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষাধীন কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশ দেয়ার পরই লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি পাল্টে যায়।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, দেশের অর্থনীতি খাত সচল রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র খুবই কম। আবার যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে, সেগুলোতে আধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং, খুব বেশি পরিবেশে ক্ষতি করবে না। এরপরও আমরা বলতে চাই, পরিবেশ রক্ষায় নজর রাখতে হবে। অন্যদিকে পরিবশে বাঁচাও আন্দোলনের আবু চেয়ারম্যান নাসের খান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, তাপমাত্রা বাড়ায় মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সেই চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে সরকারকে বাড়তি নজর দিতে হবে। এখানে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিপুল পরিমাণ জমির দরকার হয়। কিন্তু আমাদের দেশে খালি জমির পরিমাণ কম। আবার ডলার সংকটে পর্যাপ্ত ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে গেলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। সেজন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর প্রভাবে স্থানীয় পর্যায়ে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বৈশ্বিক অবস্থার বিবেচনায় পরিবেশের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত