আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের (এএমসিজিএইচ) দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী গতকাল উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে প্যানেল ডিস্কাসন, হাসপাতাল সৃষ্টির পটভূমি, ক্যান্সার হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা, বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা ও সহযোগিতা, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট আলহাজ কাজী রফিকুল আলমের একান্ত প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতাসহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট আলহাজ কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে গতকাল রাজধানীর উত্তরাস্থ হাসপাতালের নিজস্ব ভবনে কাজী রফিকুল আলম মিলনায়তনে দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সাবেক চারজন ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আজীবন সম্মাননা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তারা হলেন- আলহাজ কাজী রফিকুল আলম, প্রফেসর ড. এমএ হাই, মরহুম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ফজলে রহিম এবং প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়া সব সম্মানিত অতিথিদের আহছ্ানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এএমসিজিএইচ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. খসরু চৌধুরী বলেন, দেশে দিন দিন ক্যান্সার রোগী বাড়ছে। কারণ আমরা যেসব খাবার খাচ্ছি, সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কি না, সে ব্যাপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে পারলে মরণব্যাধি ক্যান্সার হ্রাস পাবে। এছাড়া আগে ক্যান্সার হলেই রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেত হতো, এখন ক্যান্সার হলে দেশেই চিকিৎসা হচ্ছে। ক্যান্সার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, ফলে চিকিৎসক ও রোগীদের পারস্পরিক আন্তরিক থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আলহাজ কাজী রফিকুল আলম সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। সাহসী পদক্ষেপের জন্য জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে কাজী রফিকুল আলমকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে হাসপাতালের যে কোনো সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন, সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের দেশে কোনো মানুষের ক্যান্সার হলে তার নিকটাত্মীয় ধীরে ধীরে দূরে সরে যান, সেখানে মানুষের সেবায় নিয়মিত কাজ করছে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল। আলহাজ কাজী রফিকুল আলম অত্যন্ত ব্যস্ততার মাঝেও আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের মতো অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ক্যান্সার হাসপাতালে অবদান রেখে চলেছেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক কাজী শরিফুল আলম, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) মো. জাকির হাসান (অব.), হাসপাতালের পরিচালক স্থপতি কাজী শামীমা শারমিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া হাসপাতালের সাবেক সব ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আহছ্ানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, সচিব ও ডিজিসহ সব স্তরের অতিথিদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট, হাসপাতালের উপদেষ্টা এবং দেশবরেণ্য ক্যান্সার চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এএমএম শরিফুল আলম। ডা. ফারহানা আফরিন ফেরদৌসী ও ডা. একেএম শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য দেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) মো. জাকির হাসান (অব.)।