বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাল্যবিয়ের বহুমাত্রিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। একটি শিশু হয়েও গর্ভে ধারণ করতে হয় আরেকটি শিশুকে। শিকার হতে হয়, পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের। বাল্যবিয়ে বাড়ছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু। আবার শিশু জন্মগ্রহণ করেই পুষ্টিহীনতাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাল্যবিয়ের মাধ্যমে কন্যাশিশুর স্বপ?গুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এটি অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওতে বাংলাদেশ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ার শীর্ষে। বিষয়টি হতাশাজনক। বাল্যবিয়ে নিরসনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন? মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উদ্যোগ সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন, স্বাস্থ্য খাতে অনাচার, কিশোর অপরাধ, মাদকাশক্তিসহ অনেক সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান। এগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর ও মানবিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে মানবাধিকার ধারণাটির অবাধ বিস্তার ঘটাতে হবে।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণে সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন?য়ন সংস্থা ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আন্তরিক আহ?ান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।