ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তেঁতুলিয়ায় কয়েকটি গ্রামের নলকূপে মিলছে না পানি

তেঁতুলিয়ায় কয়েকটি গ্রামের নলকূপে মিলছে না পানি

তীব্র তাপপ্রবাহে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বেশ কিছু এলাকার নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পানি। সুপেয় পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তেঁতুলিয়ার বেশ কিছু এলাকায় হস্তচালিত নলকূপে ৬০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত বডিং করা করা হয়। চৈত্র-বৈশাখ মাসে অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যায় পানির স্তর। প্রতি বছর তীব্র তাপদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এতে তেঁতুলিয়া উপজেলার সিদ্দিক নগর, সাহেবজোত, দর্জিপাড়া, কানকাটা, শারিয়ালজোতসহ বেশ কিছু এলাকায় অগভীর নলকূপে পানি উঠছে না।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, এসব অঞ্চলে পানি সংকট চরমে পৌঁছেছে। সুপেয় পানির সংকট দেখা দেওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। যাদের সাবমারসিবল পাম্প কেনার মতো সামর্থ্য নেই। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় বর্তমানে ১০ হাজার ৭৫০টি টিউবওয়েল চালু রয়েছে। সাবমারসিবলযুক্ত টিউবওয়েল (উচ্চ জলধারাসহ) রয়েছে ৯০টি। তবে সাধারণ টিউবওয়েলের সঠিক হিসেব পাওয়া যায়নি। উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, খরা মৌসুমে এখানকার নদীগুলোতে পানি নেই। শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানিও। বিশেষ করে তেঁতুলিয়া সদরের দর্জিপাড়া, কানকাটা, শারিয়ালজোত, ডাঙ্গীবস্তি, সিদ্দিকনগর ও শালবাহান ইউনিয়নের পেদিয়াগছ এলাকাসহ বেশ কিছু জায়গা উঁচু হওয়ায় গ্রীষ্ম মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এতে করে অচল হয়ে পড়ে নলকূপ। সংকট দেখা দেয় পানির। হাজারো পরিবারে পানি সংকটে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত