সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনি প্রক্রিয়া আরো গণমুখী করতে চাই

* রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড * নিবিড়ভাবে বাজার মনিটরিং করছে সরকার * ১৪ দল থাকবে

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিশেষ প্রতিনিধি

নির্বাচনি প্রক্রিয়া আরো গণমুখী ও স্বচ্ছ করার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল থাইল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আর্থিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওপর নির্ভরশীল ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার এটাকে সেখান থেকে মুক্ত করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছে। আলাদা বাজেট দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নিশ্চিত করেছি যে, দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই প্রথম আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আগে কখনো এটা করা হয়নি। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখী এবং স্বচ্ছ করা।’

তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন চাই; যেখানে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান এবং একে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য। মানুষ যাকে চাইবে সে-ই জয়ী হয়ে আসবে, সেটা হলো বাস্তবতা। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজন ও এক জায়গায় তাদের বউ আরেক জায়গায় ছেলেকে প্রার্থী দেয়া ঠিক না। সবকিছু নিজেরাই নেবেন, কর্মীরা কিছু পাবে না। তা তো হয় না। আমাদের নেতাকর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। আর যেন বেশি প্রভাব না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, ইলেকশন করছে। এর লক্ষ্যটা হলো নির্বাচনটা অর্থবহ করা। সেজন্যই এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।’ এমপি-মন্ত্রীর স্বজন কারা সেই ব্যাখাও দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীর স্বজন বলতে তার ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে বুঝানো হয়েছে। তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনি ইতিহাস যদি আপনারা দেখেন সেই ’৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন, ’৭৭ সালের ‘হ্যাঁ না’ ভোট থেকে নিয়ে যতগুলো নির্বাচন প্রত্যেকটা নির্বাচন নিয়ে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে দেখবেন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিটি নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচনই হয়েছে।’ বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। এই বর্জন করে কেন, আসলে নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচন করতে হলে... যেমন সংসদ নির্বাচন করতে হলে আপনাকে তো জনগণকে দেখাতে হবে আপনার পরবর্তী নেতৃত্ব কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবে কিংবা নেতা কে হবেন। একটা নেতা তো দেখাতে হবে। আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে। তখন তো আপনাকে একটা ছুতো খুঁজতে হয়... হ্যাঁ, এই যে ইলেকশন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখলাম। বাস্তবতা তো সেটাই।,

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি জনগণের কাছে নেতা হিসেবে দেখান, তারা তো সেটা মেনে নেবে না। রাজনীতি করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতে হয়। পঁচাত্তরের পর আমাকে দেশে আসতে দেবে না। রেহানার (জাতির পিতার কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা) তো পাসপোর্টও রিনিউ করে দেয়নি। আমার বাবার খুনিরা পুরস্কারপ্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধী খুনিরা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় তো আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এতবার বেঁচে গেলাম কেন, এটা হয়তো অনেকের ভালো লাগে না।’

কোনো দেশেরে নাম উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশে তো নির্বাচন হচ্ছে আমরা দেখব। আমরা অবজারভার টিমও পাঠাব। দেখি কেমন নির্বাচন হয়। সেখানকার মানুষ কেমন ভোট দেয়, আমরা দেখব।’

অতি বাম রাজনৈতিক দলগুলোর সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা পুরো ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। ধরে নিলাম তারা আমাকে উৎখাত করবে। কিন্তু এরপর কে আসবে ক্ষমতায়- তারা কি সেটা ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই আমার প্রশ্ন- কে আসবে ক্ষমতায়? কে দেশের জন্য কাজ করবে? কাকে তারা আনতে চায় সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয় আর সেটা স্পষ্ট নয় বলেই তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট এখনো টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নির্বাচনে ১৪ দলের অনেকে প্রার্থী দিয়েছিল, নির্বাচন করেছে, আর নির্বাচনে জেতা না জেতা আলাদা কথা, কিন্তু আমাদের এই জোট থাকবে। তাদের সাথে আমাদের সব সময়ই যোগাযোগ আছে। যোগাযোগ নেই তা তো না। এখন দু-চারজন বিক্ষিপ্তভাবে কী বলছে আমি জানি না। আমাদের যিনি সমন্বয় করেন, আমির হোসেন আমু সাহেবের ওপর দায়িত্ব দেয়া আছে দলের পক্ষ থেকে।’

শিগগিরই ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। কার্যনির্বাহী বৈঠক করেছি, আমাদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করব এবং আমি ১৪ দলের সাথেও বসব। এছাড়া অনেকের সাথে আমার নিজেরও যোগাযোগ আছে। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সবার সাথে যোগাযোগ রাখেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি জাঁকজমকপূর্ণভাবে করার প্রস্তুতি চলছে। যেখানে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে, অবস্থা বুঝেই সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ। কাজেই জনগণের শক্তির উপর আমি সবসময় বিশ্বাস করি এবং আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, জনগণ যতক্ষণ চাইবে, ততক্ষণই ক্ষমতায় থাকব। কারণ আমরা জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমাদের দল তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের আর্থসামাজিক যে উন্নয়ন, এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষ যে শোষণ বঞ্চনার শিকার হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্যই এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। কাজেই আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায় এবং এটা প্রমাণিত সত্য আর সেই কারণেই যত বাধাই আসুক, আমরা সেই বাধাটা পেরিয়ে যেতে পারি বা যত চক্রান্ত হোক, সেই চক্রান্তগুলোকে পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষকে সাথে নিয়েই আমরা বিজয় নিয়ে আসি।’

তিনি বলেন, ‘এটা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় থেকে শুরু করে এবং এই নির্বাচন জায়গায় এটা প্রমাণিত। কাজেই এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনতাই ঘটেছে। এখন যারা গণতন্ত্র নাই, দেশে ভোটের অধিকার নাই- বলে তারাই তো মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এটাই তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের কথা বলেন। অনেকে উন্নয়নটা চোখে দেখলেও কেউ কেউ দেখেন না।’

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘উন্নয়নটা তারা নাও দেখতে পারেন, কারণ তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলাটা ভিন্ন আর আমার উন্নয়নটা হচ্ছে আমার গ্রামের মানুষ দুই বেলা পেট ভরে খাবে, তাদের একটু বাসস্থান হবে, চিকিৎসা পাবে, শিক্ষা পাবে ও জীবন মান উন্নত হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকাররে উন্নয়ন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদরেকে ১৫ বছর আগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের পার্থক্য খুঁজতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের তো কিছু লোক রয়েছে, যারা সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানভারি করছে। তারা অনেক জ্ঞানী গুণী বুদ্ধিজীবী এবং তারা যখন সারাক্ষণ উল্টাপাল্টা বলতেই থাকবে, কিছুটা (বিদেশিরা) তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার দেশের মানুষইতো অনেকে প্রভাবিত হয়ে যায় আর বিদেশিরা তো হবেই। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব কথায় প্রভাবিত হয় না। তারা কিন্তু ঠিক আছে। তাদের একটা আত্মবিশ্বাস আছে, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত আমরা করেছি।’

বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের পক্ষে রয়েছে উল্লেখ করে- প্রধানমন্ত্রী সেখানে গণহত্যা বন্ধের ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা হ্রাস করে তার অর্থ দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় এবং জলবায়ু তহবিলে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। যেখানেই নির্যাতিত মানুষ, সেখানেই বাংলাদেশ আছে- এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই। আমি যেখানেই যাই, সেখানে আমার কথা আমি বলবই। কারণ, যেভাবে গণহত্যা চলছে, সেটা অমানবিক।’

আমেরিকার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, আমেরিকায় আন্দোলন করার জন্য ৯০০ ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপক গ্রেপ্তার হয়েছেন, আর এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ। সেখানে একজন অধ্যাপককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রাস্তায় ফেলে নির্যাতন করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনার সমালোচনা করেন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরপরই ঠিক যেভাবে তাদের সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী অত্যাচার করেছিল, এটা সেই অত্যাচারের কথাটাই মনে করিয়ে দেয়। অথচ তাদের কাছ থেকেই আমাদের মানবাধিকারের ছবক নিতে হয়, এটাই হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্যের।’

আমেরিকায় বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। তাদের আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত। আমেরিকায় বিভিন্ন স্কুল, শপিং মল, রেস্টুরেন্টে অনবরত বন্দুক হামলা হচ্ছে, আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন কোনো দিন নাই বোধ হয় যে, আমেরিকায় মানুষ না মরছে। তাদের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’ আমেরিকায় বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগেও আমাদের বাংলাদেশি কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি এবং বিচার করে তারা আমাকে জানিয়েছে। আমাদের যেটুকু করার সেটা আমরা করে যাচ্ছি। প্রতিবাদ শুধু এখানেই না, আমেরিকায় বসেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।’

তাপদাহ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে গরম নতুন নয়। তবে যেভাবে গরম বাড়ছে, তাপমাত্রা বাড়ছে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদে থাকতে হবে, প্রচুর পানি খেতে হবে। রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। থাইল্যান্ডও আশ্বাস দিয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রত্যাবাসন নিয়ে সহযোগিতা করবে। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারাও উদ্ধিগ্ন। থাইল্যান্ডও মিয়ানমারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার থাইল্যান্ড সফর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সফরে কী পেলাম আর কী পেলাম না, সেটা বড় বিষয় নয়। নতুন করে কিন্তু অর্থনীতির একটি দুয়ার খুলেছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে খাদ্য ও ফল উৎপাদনের বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগ করার আহ্বান করা হয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়া যেন বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’ দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকা অবস্থায় হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে যাচ্ছে, এতে রাজনৈতিক কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যখন জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারে না, তখন কিছুটা তো ষড়যন্ত্র আছেই। অসাধু ব্যবসায়ীরাও অতি মুনাফার লোভে পণ্য মজুত করে রেখে দাম বাড়ায়। সরকার এসব বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বাজার মনিটরিং করছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।