ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু

কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে কিশোরসহ এক লবণশ্রমিক মারা গেছে। এদিকে রাঙামাটিতে বজ্রপাতে নারীসহ তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ও পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে কিশোরসহ লবণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোররাতে উপজেলার মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়ন এলাকার লবণ মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দিদারুল ইসলাম (৩০) মগনামা ইউনিয়নের কোলাইল্লাদিয়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে। অপর নিহত আরাফাত হোসাইন (১৪) উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ছরিপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে।

নিহত দিদারের চাচা জাকের হোসাইন জানান, ভোর ৪টার দিকে আকাশে মেঘ জমলে ভাতিজা দিদারকে নিয়ে আমিও লবণ তুলতে মাঠে যাই। এ সময় বৃষ্টির সাথে আচমকা বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদারুল ইসলাম। মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, দিদার আমার পার্শ্ববর্তী আবুল কালামের লবণ মাঠে কাজ করত। ভোর রাতে আকাশে মেঘ দেখা গেলে অন্যান্য শ্রমিকের মতোই লবণ তুলতে গিয়ে বজ্রাঘাতের কবলে পড়ে সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইউনুস চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে দিদারুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তার পরিবারের সাথে আমার কথা হয়েছে। তাকে দাফনে প্রশাসনিক সহায়তা দেয়ার প্রচেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে, একই সময়ে লবণ তুলতে বাবার সাথে মাঠে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছে কিশোর ফরহাদ হোসাইন। তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বদু। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, দীর্ঘ সময় পর গতকাল ভোররাত সোয়া ৩টা হতে সাড়ে ৩টার দিকে মাঠে লবণ তুলতে গিয়ে বজ্রাঘাতে দুজন মারা গেছেন- এটা মর্মান্তিক। তাদের পরিবারকে প্রশাসনিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে রাঙামাটি সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তারা মারা গেছেন। তারা হলেন- সদর উপজেলার সিলেটি পাড়ার মো. নজির (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের লংথিয়ান পাড়া এলাকায় তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) ও রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকায় বাহারজান (৫৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৯টার দিকে জেলা সদরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির বাসাসংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে হলে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকায় বাহারজান (৫৫) ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। একই সময় বজ্রপাতে সাজেক ইউনিয়নের লংথিয়ান পাড়া এলাকায় তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) নামে আরো একজন নারী নিহত হন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত