চট্টগ্রামে আশীর্বাদ হয়ে এলো স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম

সারা দেশের মতো তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল চট্টগ্রামবাসী। বৈশাখের কাঠফাটা রোদে জনজীবনের ত্রাহি অবস্থা। দিনমজুর থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঠিক এই সময়ে স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো এক পশলা বৃষ্টি। গত বুধবার (পহেলা মে) বিকাল থেকে আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। রাতে গরমের ভ্যাপসা ভাব কমে গিয়ে বাতাস হচ্ছিল। পরে হাতেগোনা কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ে। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বয়ে যায় আনন্দের ঢেউ। উচ্ছ্বসিত হয়ে স্ট্যাটাস দেন নেটিজেনরা। গতকাল সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি পড়ে। সঙ্গে ছিল বজ্রপাতও। বৃষ্টির সময় পানি সংকটে থাকা গৃহস্থদের বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে দেখা যায়। স্কুলগামী শিশুসহ অনেককে খুশিতে ভিজতে দেখা যায়। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আবদুল বারেক জানান, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপর থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হয়। প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর আমরা বৃষ্টির পরিমাপ নিয়ে থাকি। তিনি আরো জানান, কালবৈশাখি ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজো বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। আগামী পাঁচদিন চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় জেলাগুলোতে বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয় জানিয়েছে, এই বৃষ্টি আগামী অন্তত পাঁচদিন থেমে থেমে চলতে পারে। এ সময় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ২টার দিকে জোয়ার শুরু হবে। ভাটা শুরু হবে রাত আটটায়। জোয়ারের সময় ভারী বৃষ্টি হলে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।