ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এএফআইপি ও সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

জনগণের আস্থা অর্জন করেছে সশস্ত্র বাহিনী

সেনাবাহিনীকে আরো আধুনিক করা হচ্ছে
জনগণের আস্থা অর্জন করেছে সশস্ত্র বাহিনী

সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুঃসময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়ামণ্ডসেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী আজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা-বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। আমার প্রচেষ্টা ছিল, সেনাবাহিনীর ওপর যেনো সাধারণ মানুষের আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। যেটা যেকোনো সেনাবাহিনীর জন্য একান্তভাবে জরুরি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা জরুরি। যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস থাকে না, তারা কখনো কোনো রণাঙ্গনে বিজয় অর্জন করতে পারে না। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেভাবে কাজ করে, প্রতিটি দেশই তার ভূয়সী প্রশংসা করে। সেটা আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন তারই ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্র বাহিনী আধুনিক ও জ্ঞান সম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সাথে যেহেতু আমাদের ২০০৮ এর নির্বাচনের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন তার সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করা। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অবদান রাখছেন তাতে প্রত্যেকটি দেশ এর ভূয়সী প্রশংসা করে থাকে। কাজেই সেটাকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।

১৪তলা এএফআইপি ভবনটি আধুনিক পরীক্ষাগারে সজ্জিত যেখানে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের অনুক্রম, স্বয়ংক্রিয় রোগজীবাণু শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং মাল্টি-হেডেড মাইক্রোস্কোপ ইনস্টল করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেনা কেন্দ্রীয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত