ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাছকাটা ও লাগানোর বিষয়ে বিধিমালা করতে রুল

গাছকাটা ও লাগানোর বিষয়ে বিধিমালা করতে রুল

গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিস্ত্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এর আগে ২ মে আইনজীবী তানভীর আহমেদ সারা দেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর পর ওই আইনজীবী জানান, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে ৯ শতাংশ। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয়। ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গাছ লাগানো হয়নি। দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত