বোয়িং-এয়ারবাসের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে প্লেন কেনার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, সরকারের প্লেন কেনার পরিকল্পনা আছে। তবে প্লেন কেনার ক্ষেত্রে ইউরোপের প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী ফারুক খান।

বিমানমন্ত্রী বলেন, প্লেন কেনার ক্ষেত্রে শক্তিশালী মূল্যায়ন টিম দেখবে। আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে। বাজেটের আগে তারা দেওয়ার চেষ্টা করবে। ইউরোপে একটা এয়ারক্রাফট বানায় এয়ারবাস। বাংলাদেশে আমাদের বোয়িং আছে। আমরা এয়ারবাসও কনসিডার করছি। একই প্লেন না কিনে দুই ধরনের প্লেন হলে আমাদের বিভিন্ন সুবিধা হতে পারে। সেটা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ বিমানের অধীনে একটা মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। আমাদের কাছে এয়ারবাস তাদের ফিন্যান্সিয়ালসহ বিভিন্ন অফার দিয়েছে। অফারগুলো স্টাডি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা বলেছে, একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করতে। আমরা বলেছি, এখন সমঝোতা স্বাক্ষর করতে পারব না। কারণ, মূল্যায়ন শেষ হয়নি। এটা শেষ হলে স্বাক্ষর হবে।

বিমানমন্ত্রী বলেন, এয়ারবাস কিনতে ইউকে, জার্মানি ও ফ্রান্স মিলে প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ভালো অফার পেয়েছি। এরই মধ্যে বোয়িংও ভালো অফার দিয়েছে। সেগুলো আমরা মূল্যায়ন করছি, যেটা সবচেয়ে ভালো হবে, সেটা আমরা কনসিডার করব। এক্ষেত্রে দাম ও ব্যাংক ঋণ ও টেকনিক্যাল অফারগুলো বিবেচনা করা হবে।

ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে খুবই সুসম্পর্ক আছে। আমরা একসাথে কাজ করি বিভিন্ন সেক্টরে, শুধু এভিয়েশনে না। ব্রিডিং বাংলাদেশি যারা সেখানে আছে তারা খুবই ভালো কাজ করছে। বাংলাদেশে তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করতেছে। যে আলোচনা হয়েছে, প্রাথমিক ফোকাস হচ্ছে এভিয়েশন শিল্প নিয়ে কী করতে পারে। কারণ, তারা দেখেছে নতুন এয়ারপোর্ট। তারা বুঝতে পেরেছে এই এয়ারপোর্ট অনেক কাজ হবে। বাংলাদেশ এভিয়েশন শিল্প সম্পর্কে তাদের অনেক আগ্রহ।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা বলেছে, তাদের আরো কয়টা দিন সময় লাগবে।