অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে ‘বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে’ বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এই টিকা যারা নিয়েছেন, তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচি’কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিছু দেশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। আমরাও যেহেতু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণ করেছি, আমাদের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।’ সম্প্রতি সারা বিশ্বে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় টিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে, বলে শুনেছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমাদের দেশে এ রকম কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি এটা জানার পর এরই মধ্যে ডিজি হেল্থকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদের এই টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।’

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানব আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা (আ্যাট্রাজেনিকা) বলছে, টিকা তুলে নিতে কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাবো ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলব?’

দেশে যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনও উপসর্গ বা ক্ষতিকর কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি, তাই বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কার্যক্রম চলবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রসঙ্গেও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসায় যেন কোনও সরঞ্জাম সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এরই মধ্যে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি।’