ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত পাইলট নিহত

চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত পাইলট নিহত

বন্দর নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুটে নামতে সক্ষম হলেও দুইজন পাইলট গুরুতর আহত হন। আহত পাইলটদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন পাইলটের মৃত্যু হয়।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসীম জাওয়াদের মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি নামার সময় সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে পেছনের দিকে আগুন ধরে যায়। দুইজন পাইলট প্যারাসুটের সাহায্যে নামতে সক্ষম হন। বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে বিমান বাহিনীর ট্রেনিং ফাইটার বিমানটি পতেঙ্গা এলাকায় বোট ক্লাবের ওপর দিয়ে উড্ডয়নরত অবস্থায় হঠাৎ পেছনের দিকে আগুন দেখা যায়। এরপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পানিতে পড়ে। এসময় দুইজন পাইলট প্যারাসুটযোগে নিচে নামতে মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তাঁরা গায়ে পড়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক জানান, সভাপতি মাহমুদুল করিম কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করছে। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তো তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী না। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগে আছে। চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সারওয়ার আজম জানান, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল।কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত