সকালের স্বস্তির বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুম থেকে উঠার পর গতকাল সকালে আবার যেন রাতের অন্ধকার নেমে আসে। আকাশ ভরা ছিল মেঘে। কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর সকালের আকাশ। সকাল ৭টা বাজতে না বাজতেই শুরু হয় বৃষ্টি, যা চলে প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আর দেড় ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গতকাল সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখি ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হয়।

সকালে ঢাকায় ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আজ বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমে আসলেও আট বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল থেকে ঝড়-বৃষ্টি কমে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের অফিস শুরু হয় সকাল ৮টায়। তার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হতে হয়। রাস্তায় নামতে নামতেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি। অন্ধকার মেঘ দেখে যারা ছাতা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন তারাও ভিজে গেছে ঝাপটা বৃষ্টিতে। ছোট ছাতায় বৃষ্টি সামাল দেয়া যায়নি। অনেককে বড় ছাতা নিয়েও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। অফিসগামী মানুষ কাক ভেজা হয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গেছেন। যাদের অফিস ৯টায় তারাও বৃষ্টির কবলে পড়েন। ভেজা শরীর ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে অফিসের কাজ শুরু করতে অনেকটা সময় কেটে যায়। রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায়, মোহাম্মদপুর, ইসিবি, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

সকালে যারা কাজে বের হয়েছিলেন, বৃষ্টির কারণে তাদের পড়তে হয়েছিল ভোগান্তিতে। সকালে বৃষ্টির পর রাজধানীর অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সকালে কাজে বের হওয়া অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভিডিওসহ জলাবদ্ধতার কারণে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টগুলোতেও বিভিন্নজন বিভিন্ন এলাকার কথা উল্লেখ করেছেন

গতকাল সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। লঘুচাপটির বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর ফলে ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং দেশের বাকি অঞ্চলের দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হয়।