ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমবাগান নিয়ে বিপাকে মালিক

ফলন কম হওয়ায় বাগান কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা
আমবাগান নিয়ে বিপাকে মালিক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর আমের বাগান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বাগান মালিকরা। আমের ফলন কম হওয়ায় বাগান কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বাগান মালিকদেরই আমগাছ থেকে নামিয়ে বাজারে বিক্রি করতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাগান মালিকরা জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকেই বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা। গাছে গুটি ধরলেই শুরু হয় ব্যবসায়ীদের কাছে আগামবাগান কেনাবেচার কার্যক্রম। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গাছে আসেনি আশানুরূপ মুকুল। সব মিলিয়ে জেলার বাগানগুলোয় এবার আমের ফলন খুবই কম, যা তাদের কাপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে।

শিবগঞ্জের আমবাগানের মালিক মোহাম্মদ বাবু বলেন, আমার চারটি বাগান আছে। বাগানগুলোয় এবার আমের ফলন খুবই কম। তারপরও বাড়তি দামে কীটনাশক-রাসায়নিক ব্যবহার করে গাছের পরিচর্যা করেছি। আগাম আমের বাগান বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে বাগান দেখে তারা বলেছে আম নাই। এজন্য নায্য দাম বলছে না। কম দামে বাগান বিক্রি করতে গেলে আমার সব পুুঁজি হারিয়ে যাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, চলতি বছরে গোটা জেলাজুড়ে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হচ্ছে। তবে মুকুল এসেছে ৭৩ শতাংশ গাছে, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ কম। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চলতি বছরে ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবারের মৌসুমে আমের ফলনের জন্য অফ ইয়ার বা কম ফলনের বছর। তাই জেলার বড় বড় আমের বাগানগুলোতেও আশানুরূপভাবে আমের ফলন হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, আগাম আমে বাগান বিক্রি করতে কোনো বাগানি পরামর্শ চাইলে তাদের পরামর্শ দেয়া হবে। এছাড়া আমাদের কিছুই করার নাই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত