৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ৯ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৯ জন আসামির ফাঁসি ও ৯ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ হয়েছে। গতকাল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, একই ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, আমির হোসেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর সাথে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে জামাল উদ্দিন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়া এলাকায় যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ এজাহার নামীয় ২১ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত দুই জনসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতের পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, এ মামলায় আদালত ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং অপর পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা রায়ের কপি হাতে পেলে বিধিমোতাবেক উচ্চ আদালতে আপিল করব।