ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল

চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল

বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনাদের মনে আছে গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে বিএনপি হাজির করেছিল। ভুয়া উপদেষ্টা যখন বিএনপি কার্যালয়ে, তখন দেখি শুধু ইংরেজি বলে। পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়াইয়া বাংলা বলে।

তিনি বলেন, তার আগে বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করেছিল। সেই সময়ে বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। অমিত শাহ’র অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ ছাড়া হয়েছিল, সেটা অমিত শাহ’র নয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াত। আর দেন দরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়, কোনো লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা না থাকত, তাহলে আরো বেশি মানুষ ভোট দিত। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা, মানুষের ওপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করত, তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হতো। গত দুই-তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিওবা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হত তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্র প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুই দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানীং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই সফরে এসেছিলেন। এবং আমার সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কীভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। এমনকি আমরা যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু রিফর্ম করি, তাহলে আমাদের জিএসপি সুবিধাও ফিরিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ও তারা ব্যক্ত করেছেন। একইসাথে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে তাদের একটি বিশেষ তহবিল আছে। সেখান থেকে তারা সাহায্য করার কথাও বলেছেন।

সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছি। এজন্যই বিএনপির মাথাটা বেশি খারাপ।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত