ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

অনেকটা নিয়ম রক্ষার ভোট করল ইসি

দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি : সিইসি
অনেকটা নিয়ম রক্ষার ভোট করল ইসি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। বেশির ভাগ উপজেলায় ভোটারদের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে আসার আগ্রহ ছিল কম। তবে কিছু উপজেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপৃর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটার বাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেইনি ইসি। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ইসি অনেকটা নিয়ম রক্ষার ভোট করেছে। আগের নির্বাচন কমিশনগুলোর মতো বর্তমান কমিশন উপজেলা নির্বাচনে ভোট নিয়ে তেমন উৎসাহ দেখায়নি। আইন অনুযায়ী ভোট করা তাদের দায়িত্ব, সে কারণে তারা নিয়ম রক্ষায় ভোট করেছে।

ভোট শেষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোয় বড় ধরনের কোনো নাশকতার খবর পাইনি। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ছোটোখাটো দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর সংখ্যা মাত্র ১৮টি।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতার তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দুয়েক জায়গায় হাতাহাতি হয়েছে। এসব ঘটনায় এক থেকে দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে নির্বাচন ঘিরে উল্লেখযোগ্য সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন মোটামুটি ভালো এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের হার নিয়ে সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের উপর হতে পারে। সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য আগামীকাল পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল। এর মধ্যেও কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন, তখন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক থেকে দুজনের অবস্থা গুরুতর হতে পারে।

তিনি বলেন, গত সোমবার রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি, বেশ গুরুতর আঘাত। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, দুজন নিহত হয়েছেন। তবে সেটি ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগে নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া উপজেলা ভোটে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকে। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স। নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে রাজশাহী, রাজবাড়ী, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, ফরিদপুর, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, নেত্রকোণা, জামালপুরসহ অধিকাংশ জেলার উপজেলায় সারাদিন ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল ৯টায় বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের বড়ই চারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই একই ভোটকেন্দ্রে ইউসুফ মণ্ডল (৬২) নামে এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যানপ্রার্থী জামিল হাসানের এক কর্মীকে তিন দিনের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আটজন আহত হন। গতকাল সকালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের সমর্থদের মাঝে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে এ সংঘর্ষ ঘটে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জাল ভোট দিতে গিয়ে কিশোর-কিশোরী আটক হয়েছে। সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার সহশ্রামণ্ডধুলদিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র এ ঘটনা ঘটে।

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধাসহ হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার দুইজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়ারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় এই দুইজনকে ডিবি পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পশ্চিম কাজিরকজীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

তবে সিলেটের তিনটি উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। এসব কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ভিডিও ধারণ করতে যাওয়ায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মুহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সমর্থকদের হামলায় অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী দারুস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জালভোট দেওয়ায় এক যুবককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জালভোট দিতে সহযোগিতা করায় দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে আটক করা হয়। উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান : উপজেলা নির্বাচনে জেলার জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ভিডিওচিত্র ধারণ করতে যাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির সমর্থকদের হামলায় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতন, স্থানীয় ছয় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিকদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটকেন্দ্রেটি প্রায় ১ ঘন্টা ভোট বন্ধ থাকার পর পূনরায় চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়, আহত সাংবাদিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে জাজিরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৬২১টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সেনেরচর ফরাজী দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক কর্মরত সাংবাদিকরা সেই চিত্র ধারণ করতে চাইলেই অর্ধ শতাধিক মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থকরা সাংবাদিকসহ উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতনের ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রতন, দৈনিক সংবাদের জাজিরা প্রতিনিধি পলাশ খান, বার্তা বাজারের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়, যায়যায়দিনের জাজিরা প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন, দৈনিক জবাবদিহির জাজিরা প্রতিনিধি সুজন মাহমুদ, বাংলাদেশ সমাচারের রুহুল আমিন ও কালবেলার জাজিরা প্রতিনিধি আব্দুর রহিমসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দৈনিক সংবাদের জাজিরা প্রতিনিধি পলাশ খান বলেন, আমরা ভোট কেন্দ্রের বাহিরে অবস্থান করছিলাম। মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করছেন- এমন খবরের চিত্র ধারণ করতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইদ্রিস ফরাজির ভাই ইমন ফরাজীর নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, বেলা ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পূনরায় ভোটগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করে অন্য কেন্দ্রে চলে যাই। এ বিষয়ে আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, ‘সেনেরচর ফরাজী দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে গোলোযোগের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আধা ঘণ্টার মধ্যে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চালু করি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত