ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে চান না কাদের

জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে চান না কাদের

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা নিয়ে বেশি কথা বলতে চান না আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর ভিসা নীতি নয় বরং এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা বেশি কথা বলতে চাই না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। গতকাল আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা ভিসা নীতির প্রয়োগ নয়, এটি এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ। সেখানে এপ্রোপিয়েশন একটা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলবো না। এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম। নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপিসহ সমমনাদের অভিরাম মিথ্যাচার, টিআইবির অপপ্রচার ও সুশিল সমাজের ব্যক্তিদের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিসহ সমমনাদের অভিরাম মিথ্যাচার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরও কিছু নামিদামি বুদ্ধিজীবি আছেন, তারাও মিথায়চার, অপপ্রচার করে মানুষের আগ্রহ নষ্ট করেছেন ভোটের ব্যাপারে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গে ও আমাদের বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, এটা বলা যাবে না। এখানে কিছু সংঘাত, প্রাণহানি ঘটে। এখানে আমাদের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ক্যাজুয়ালটি নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি এটা যদি বলেন, এটা তো স্থানীয় নির্বাচন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে ছিলো ৪২ শতাংশ। বিএনপি নেতাদের বলব, ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন তাতে বিবিসি বলেছিলো ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন ২১ শতাংশ। আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে ২১ শতাংশও যদি ধরি তাহলে ৩০ শতাংশ এটা কম কিসের? ভোট হয়েছে এটাকে খুব বেশি ভালো বলবো না। বলব মোটামুটি ভালো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি টার্ন আউট নিয়ে আমার মনে হয় বেশি কথার বলার প্রয়োজন নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত