এমপি আনারের খুনের সঙ্গে দেশের মানুষ জড়িত

বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতে হত্যা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশি কেউ তাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল কলকাতায় এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধারের পর নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতার এক বাসায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনের মোটিভ, কারা খুন করেছেন এসব জানতে ভারতের পুলিশ কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তা তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই প্রকাশ করছি না। তদন্ত শেষ হলে জানানো হবে তিনি কেন খুন হয়েছেন, কে কে খুন করেছে, কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে খুন হয়েছেন। মরদেহ আমাদের হাতে আসেনি। দুই দেশের পুলিশ তদন্ত করছে। ভারতের পুলিশ আমাদের জানিয়েছে যে তিনি খুন হয়েছেন, এটা সুনিশ্চিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ঝিনাইদহের এই আসনটি সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা। এখন পর্যন্ত যাদের এ ঘটনার জেরে আটক করা হয়েছে, তারা সবাই বাংলাদেশি। এই হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ উদ্ধারে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। এক্ষেত্রে ভারতীয় পুলিশও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক যত ওয়ে (উপায়) রয়েছে, তা কাজে লাগানো হবে।

এ ঘটনায় আটকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে। খুব ইতিবাচক তদন্ত চলছে। যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল আমরা পরে সেগুলো প্রকাশ করব। তিন আসামি ধৃত অবস্থায় আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আরো কয়েকজনকে ধরার চেষ্টায় আছি। এটা একটা খুন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরবে- এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, কারণ ভারতের কেউ এখানে জড়িত নেই। বাংলাদেশিরাই খুন করেছে। সেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারত আমাদের যথেষ্ট কো-অপারেশন করছে।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত সফরে ভারতে যান তিনবারের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৭ মে থেকে তার পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ১৮ মে তার নিখোঁজের বিষয়ে উত্তর কলকাতার বরানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ২১টি মামলার আসামি ছিলেন। তবে বিভিন্ন সময়ে ওই সব মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।