ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হত্যাকাণ্ড দুই দেশের কোনো বিষয় নয়

বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হত্যাকাণ্ড দুই দেশের কোনো বিষয় নয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এমপি আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক, দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। তার হত্যাকাণ্ড দুই দেশের কোনো বিষয় নয়।

গতকাল দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রী জানান, কলকাতার যে ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কলকাতা পুলিশ সেই ফ্ল্যাটে ঢুকে লাশ পায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। আমরা আমাদের মিশনের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখছি এবং মিশন থেকেও কলকাতা পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এর বেশি কিছু বলা সমীচীন নয়। আমদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আরও যোগাযোগ রাখছে।

‘সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রের যে অ্যাক্টে যেভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত দায়ের কথাই বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউশনাল বিষয়ে নয়।

সম্প্রতি জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ডয়েচে ভেলে’-তে জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে প্রকাশিত একটি নেতিবাচক ডকুমেন্টারির ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, আমি এখনো এটি দেখিনি। আমি নিজে না দেখে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আমাকে আগে দেখতে হবে।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি এবং গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ২৪তম জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং আমরা শিল্পপ্রধান দেশগুলোর উচ্চ কার্বন নিঃসরণজনিত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার। কার্বন নিঃসরণ কমানোর কোনো বাধ্যবাধকতা আমাদের না থাকলেও বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম পথিকৃৎ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনামাফিক আমাদের দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ব্যবহার্য শক্তির ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনায় নিয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন- অনন্ত মহাবিশ্বের কোটি কোটি গ্রহের মধ্যে এখনো আবিষ্কৃত একমাত্র জীবনতরী আমাদের পৃথিবী গ্রহ। বিপুল মহাবিশ্বে প্রাণের একমাত্র ধারক-বাহক এই পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে এর পরিবেশ-প্রকৃতিকে সবুজ-শ্যামল জীবন্ত রাখার কোনো বিকল্পই নেই। আর এ জন্য প্রয়োজন সব মানুষের সচেতন ভূমিকা। এ সময় ড. হাছান এ সম্মেলন আয়োজকদের ধন্যবাদ দেন এবং শক্তির নবায়নযোগ্য উৎস যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিশক্তিসহ যেসব শক্তি উৎপাদনে কার্বন নিঃসরণ হয় না, সেই সবুজ শক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সবাইকে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতার হোসেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) মো. আলমগীর মোর্শেদ, বাংলাদেশ সোলার রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল আকতার এবং সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত ও নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান যথাক্রমে মূল প্রবন্ধ ও ধন্যবাদ বক্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস শামস স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত