ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওবায়দুল কাদের

দুর্নীতি ও লুটপাটের শিরোমনি বিএনপি

দুর্নীতি ও লুটপাটের শিরোমনি বিএনপি

দুর্নীতি ও লুটপাটের শিরোমনি বিএনপি। দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে বিএনপি নেতাদের নাম সবার আগে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়। আমাদের দেশের গণতন্ত্রও পারফেক্ট দাবি করি না। তবে পারফেক্ট করার পথে আমাদের চেষ্টা আছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক। আজকে বিএনপি যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। ১৫ ফেব্রুয়ারি হ্যাঁ-না ভোট। যেখানে হ্যাঁ ভোট ১১৪ শতাংশ। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসন এবং তামাশায় পরিণত করেছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম।

‘তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া দেশের জনপ্রিয় নেতা’ বিএনপি নেতাদের এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতি আর লুটপাটের ভবন। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি করা দলের কাউকে কি কোনো শাস্তি দিয়েছে তারা? প্রশাসনের কাউকে শাস্তি দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তদন্ত হচ্ছে। সরকার-বিএনপির মতো ইমিউনিটি কালচার গড়ে তোলেনি।

ওবায়দুল কাদের নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমি মন্ত্রী যদি দুর্নীতি করি, সেটা কি বিনাবিচারে শেষ হয়ে যাবে? প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব খবর আছে, কারা কী করে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসেও কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন।

দেশের অর্থনীতির ধ্বংস করছে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি’র এমন দাবি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনীতির খারাপ অবস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে দুর্নীতি, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির বেসামাল অবস্থা। বাংলাদেশ সেখানে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামাল দিয়ে যাচ্ছে, ভারসাম্য রক্ষা করছে। দেশের অর্থনীতি যদি ধ্বংস হবে, তাহলে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে সাপোর্ট করছে? সেটা মির্জা ফখরুলদের স্মরণ করে দিতে চাই। বাংলাদেশ সেবা দাস রাষ্ট্রে পরিণত বিএনপির এমন প্রশ্ন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, শিবা দাস কে কার? বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কারো সেবা দাস নয়। বিএনপির মুখের বিষ আরো উগ্র হয়েছে। তারা একরাশ ব্যর্থতার স্তূপীকৃত আবর্জনার উপর দাঁড়িয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছে। মানসিক অস্থিরতায় তারা সত্য বলতে ভুলে গেছে। মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে। বিএনপির দলের ভেতরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র কীভাবে আনবে, প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে যথাসময়ে সম্মেলন হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম কয়বার কত বছরে সম্মেলন না হয়েই বিএনপির মহাসচিব দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে। মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুলের কি বৈধ অধিকার আছে? সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর?

এ সময় সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটি প্রক্রিয়াধীন আছে, তদন্ত চলছে। দুদক মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার বিদেশ যাত্রা বিষয়টি তিনি অবহিত নন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত