ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী 

খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি

খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি

খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন (কেআইবি) অডিটরিয়ামে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪’ ও ‘ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন’ উপলক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন। এ লক্ষ্যে সরকার দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং এ খাতকে রপ্তানিমুখী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এলডিপিপি) উল্লেখযোগ্য যা ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারিদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যেমন দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন তেমনি আপনারা নিজেদেরকেও সমৃদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এসময় খামারিদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনা, মানুষের কথা ভাবা ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এসব কাজের বাইরে যখনই একটু সময় পান তখনই গনভবনে এ ধরনের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এটি খামারিদের প্রতি তার মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। দুধ শুধু একটি আদর্শ খাবারই কেবল নয় বরং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ পান অপরিহার্য। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দুধ যেমন পুষ্টির জন্য অপরিহার্য তেমনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলার জন্য শেখ হাসিনাও তেমনি অপরিহার্য বলে তিনি এ সময় মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে এ ধরণের অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় করা হবে এবং সে অনুষ্ঠানে খামারিরা প্রধান স্টেকহোল্ডার হবেন। তিনি গুড়াদুধ আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য অধিকহারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে খামারিদের দাবিকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে খামারিদের আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, দেশে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এবছর ডেইরি খামার ক্যাটাগরিতে ২৬টি, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯টি, দুধ/মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ১১টি এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে পাঁচটিসহ মোট ৫১টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্যমান ১ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের দুগ্ধ খাতের ৫১ জন সফল খামারি ও উদ্যোক্তার হাতে এ সময় মন্ত্রী ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে খামারিদের এ ধরনের সম্মাননা প্রদান তাদের দুগ্ধ উৎপাদনে আরো উৎসাহিত করবে এবং ফলে এ সেক্টরের উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী এ সময় মন্তব্য করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং সারাদেশের জেলাপর্যায়ে র‌্যালি আয়োজন করা হয়। বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুধ অপরিহার্য’। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কতৃর্ক উপস্থাপিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যুগ্ম সচিব ও এলডিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত