মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে ২০০৩ সালে ঈদুল আজহার দিন হামলার ঘটনায় জোড়া খুনের মামলায় চারজনকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সহিদুল করিম এবং বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গতকাল এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুদ উল হক। পলাতকদের বিরুদ্ধে ছিলেন আইনজীবী নারগিস আক্তার। ২০০৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে ঈদুল আজহার দিন আসামিরা শটগান, কাটাবন্দুক, পিস্তল ও হাতবোমা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজুল হক মোল্লার কর্মী সৈয়দ আলী মোল্লা ও সুলেমান মোল্লাসহ ৩৬ জনের ওপর হামলা চালান। এতে ঘটনাস্থলে সৈয়দ আলী মোল্লা মারা যান। পরে হাসপাতালে সুলেমান মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজন আইয়ুব আলী মোল্লা বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন।
এ মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় দেন। রায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড, এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৯ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাণ্ডাদেশ দেয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মহিউদ্দিন হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদার, হালিম সরদার ও হাবি শিকদার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি শামসুল হক হাওলাদার। ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন হিরু হাওলাদার, রফিক হাওলাদার, কাইয়ুম শিকদার, জাহাঙ্গীর শিকদার, টুটুল হাওলাদার, মোস্তফা হাওলাদার, জিন্নাত খাঁ, ইদ্রিস শেখ ও সেকান্দার শেখ।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
