মা হত্যা মামলার রায়

কুষ্টিয়ায় ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় দায়ে করা মা মমতাজ বেগম হত্যা মামলায় ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানর রায় দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলার কাটদহ গ্রামের মৃত ফজল বিশ্বাসের স্ত্রী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুন্না বাবুর মা মমতাজ বেগম ওরফে জাগা বিকাল ৫টায় নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।

এ বিষয়ে মমতাজ বেগমের ভাই মিরপুর থানায় একটি সাধারণ জিডি দায়ের করেন। বিষয়টি পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, ছেলে মুন্না বাবুই তার মাকে হত্যা করেছে। মিরপুর থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা ছেলে মুন্না বাবুকে সন্দেহবশতঃ বিভিন্ন সময়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মুন্না বাবু স্বীকার করে যে, সে এজাহারনামীয় অপর অভিযুক্ত আসামি রাব্বি আলামিন ও আব্দুল কাদেরের সহযোগিতায় তার মা মমতাজ বেগমকে তার বসতবাড়ির উত্তর ভিটায় গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এবং তার মরদেহ গুম করার জন্য ওই বসতবাড়ির পূর্ব পাশের জনৈক রাজা’র পরিত্যক্ত পুকুরের পানির নিচে কাদায় পুঁতে রাখে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মমতাজ বেগম ওরফে জাগা’র বস্তাবন্দি মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে এবং মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকরতঃ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, কুষ্টিয়ায় পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহত মমতাজ বেগমের ভাই বাদী হয়ে মিরপুর থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, মামলার প্রধান আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিমূলক স্বীকারোক্তি দেয়। রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদানসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন।