এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যা

ডিবির খাঁচায় ঝিনাইদহের গ্যাস বাবু : আলোচনায় নতুন মোড়

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কবীর, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে আটক করা হয়েছে। তাকে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছে। তিনি অভিযুক্ত আমেরিকা প্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহিন ও শিমুল ভুঁইয়ার নিকটাত্মীয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান জানান, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করছিল। তারা গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আদর্শপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই ঢাকায় নিয়ে যায়। তবে কি কারণে তাকে আটক করা হয়েছে সেটি তিনি জানাতে পারেননি।

তবে ঢাকার ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই আটক করা হয়েছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, এ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আক্তারুজ্জামান শাহিন ও অভিযুক্ত শিমুল ভুঁইয়ার নিকটাত্মীয় কামাল আহমেদ বাবু। তার কাছ থেকে আনার হত্যা ও পূর্বশত্রুতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে বলে ডিবি পুলিশ মনে করছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু জানান, তিনবারের সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় নেতা আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য প্রশাসন যে কাউকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তিনি আরও জানান, আমিও শুনেছি বাবু আটক হয়েছেন। তবে আমরা চাই, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িত যারাই থাকুক, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ছয়জন গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। আর হত্যা নিশ্চিত হওয়ার বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এমপি আনারের মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে ২৮ মে সন্ধ্যার দিকে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে একটি মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। তবে তা এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি কোনো সংস্থা।