ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের

দুর্নীতিবাজদের বিচার করার সাহস শেখ হাসিনার আছে

দুর্নীতিবাজদের বিচার করার সাহস শেখ হাসিনার আছে

দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আইন করা আছে, আইন নতুন করে করতে হবে না। নেত্রী যেটা বলেছেন, সেটা আমিও বলব। আধার দিয়েছি, এখন রুই-কালতা ধরা পড়বে। দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তবে দুর্নীতিবাজদের বিচার করার সাহস বিএনপির ছিল না, শেখ হাসিনার আছে।

গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও হুমকি মোকাবিলা করার জন্য ভবিষ্যতে অবশ্যই শান্তি সমাবেশ করতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীতেও এ ধরনের হুমকি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগীরা সবাই আমরা প্রস্তুত।’

সীমান্ত এলাকায় মানুষ হত্যার মহোৎসব চলছে, বিএনপির এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। বিএনপির আমলে তো এটা আরো বেশি হয়েছিল। কিন্তু এটা যে মহোৎসব বা উৎসব, এটা তো বলা যায় না। কোনো ঘটনা ঘটলেই দুই দেশ একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করছে, পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থাও নিচ্ছে। হত্যার উৎসব বা মহোৎসব শব্দ বিএনপির আবিষ্কার করা। তারা নিজেরা যা চর্চা করে, এখনও তা-ই মনে করে।’

কালো টাকা প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, কালো টাকা সাদা তো সাইফুর রহমান করেছেন, বেগম খালেদা জিয়াও করেছেন। আমি বলতে চাই না, বেগম জিয়া ও সাইফুর রহমান তাহলে দুর্বৃত্ত? এই বাজেট করা হয়েছে রাঘব-বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল, দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছিল, সেই অন্ধকার পথ থেকে এই দেশকে শেখ হাসিনা উদ্ধার করেছেন। লুটপাট করার জন্যও না। উল্টো লুটপাট আমরা বন্ধ করেছি।

দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তবে দুর্নীতিবাজদের বিচার করার সাহস বিএনপির ছিল না, শেখ হাসিনার আছে। লুটপাট করে কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না। এযাবৎকালে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’

নিজের লোককে শায়েস্তা করার সাহস বিএনপির নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে সনি হত্যার বিচার কে করেছে? আর আবরার হত্যায় যে কয়েকজন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছে, সবাই ছাত্রলীগ বলে পরিচিত। বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার কি হয়নি? তারা কি তাদের সময় তাদের দলের কোনো নেতার একটা বিচার করেছে? আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কোহিনূর এদের বিচার কে করেছে? বেনজির, আজিজও দুর্নীতি করে ছাড় পাবেন না। তারা আওয়ামী লীগের লোক নন। একজন পুলিশ অফিসার, আরেকজন সেনা অফিসার। কথা হচ্ছে, দুর্নীতি করে সব ছাড় পেয়েছে, যেটা বিএনপি করেছে। আমরা ইম্পিউনিটি কালচার গড়ে তুলিনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সবাই চোখেও দেখি না, কানেও শুনি না। আমরা সবাই যেন বধির হয়ে গেছি। ৯ মাস পর চার জন হোস্টেসকে উদ্ধার করল, তাতে মনে হচ্ছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীই যেন বিশ্বনেতা। আন্তর্জাতিক সব মিডিয়া তাকে মহামানব বানিয়েছে। আর বাইডেন সাহেব ফ্রান্সে বসে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নেতানিয়াহু প্রশংসাজনক কাজ করেছেন, সেজন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পৃথিবীর মানুষ সাক্ষী, শেখ হাসিনা ছাড়া একজন রাষ্টনেতা বলবেন না ২১৩ জন সাধারণ নারী-শিশুসহ হত্যা করে চার জনকে উদ্ধার করেছে। এই ২১৩ জনের কথা বলার কি কেউ নেই? এই শিশুদের কী অপরাধ? এরা কি হামাস? এই সিভিলিয়ান হত্যার বিচার কি হবে না? একটা কথাও বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর আমাদের আরব বিশ্ব মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত