ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

এক টাকাও খরচ করেনি কাদের সিদ্দিকীর দল

এক টাকাও খরচ করেনি কাদের সিদ্দিকীর দল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগতভাবে কোনো ব্যয় করেনি বলে ইসিকে জানিয়েছে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

গতকাল গণফ্রন্ট ও ন্যাপ ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিলেও ভোটে খরচ না করার কারণে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে গুনতে হয়নি কোনো জরিমানা।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করে। বৈঠকে শেষে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে, সম্প্রতি সংসদ নির্বাচনের দলীয় ব্যয় যথাযথ সময়ে না দেওয়ায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ১৫ দিনের সময় বেধে দেয় সংস্থাটি। সেই সময়ের মধ্যে জরিমানাসহ হিসাব না দিলে নিবন্ধন বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেয় কমিশন। যে কারণে দলের নেতাদের নিয়ে কাদের সিদ্দিকী ইসির সঙ্গে বৈঠক করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।

বৈঠক শেষে কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর একবার এসেছিলাম। বহুদিন পর আজ এসে কথা বলে অনেক খুশি হয়েছি। তাদের মধ্যে অনেক ম্যাচুরিটি লক্ষ্য করছি। তিনি বলেন, অভিযোগ কোনো ভাল কথা না। আমরা হিসাব দেইনি। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। দেশে অনেক কিছু হয়। আমরা খরচ করিনি। আমরা হিসাব দিইনি। আমরা নিবন্ধিত দল। যে দলের ৮০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা। সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করলে দেশের কতটা সুনাম হবে? নির্বাচন কমিশনের কতটা সুনাম হবে? এটা ভেবে দেখা দরকার। ভুল ত্রুটি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে যথেষ্ট খুশি হয়েছি। নির্বাচনে যে ভুল ত্রুটি আছে, সেগুলো যদি দূর করতে পারেন, আন্তরিকভাবে যদি চেষ্টা করেন, তাহলেই যথেষ্ট। আমার মনে হয়েছে তাদের এই সময়ের অভিজ্ঞতায় তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যেটা লেখা আছে তা জানিয়ে দিয়েছি যে, আমরা কোনো খরচ করিনি। আমরা স্কুলের ছাত্র না, যে আমাদের পড়ার হিসাব দিতে হবে। একটা দূরত্ব হয়তো ছিল, তারা হয়তো আমাদের লেখাটা স্পষ্ট করে বুঝতে পারে নাই। অথবা আমরা তাদের বোঝাতে পারি নাই। এটা মিটে গেছে।

পরে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তাদেরও একটা ভুল বুঝাবুঝি ছিল। আমরা একটা ব্যয় বিবরণী চেয়েছিলাম। আরপিও অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে দলগতভাবে যে ব্যয় হয়, তার একটা হিসাব দিতে হয়। তাদের বক্তব্য হলো গত ৮ মে যে তথ্য জমা দিয়েছেন ওইটাই তাদের ব্যয় বিবরণী। সেটা ব্যয় বিবরণী ফরমে দেওয়া হয়েছিল না, যেজন্য আমরা পরবর্তীতে তাদের চিঠি দিয়েছিলাম। এখন আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি গ্রহণ করেছে। সেটাকে ব্যয় বিবরণী হিসেবে ধরা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে সাপোর্টিং হিসেবে ওটা ব্যয় বিবরণী হিসেবে জমা দিয়ে দেবে। জরিমানা করা ভুল ছিল না। তিনি আরো বলেন, তারা বলেছেন, দলীয়ভাবে তারা কোনো ব্যয় করেন নাই। ব্যক্তির ব্যয় হয়েছে। কমিশন এই বক্তব্য গ্রহণ করেছে। তারা কোনো পোস্টার ছাপায়নি বা কোনো দলগত ব্যয় হয়নি। ব্যক্তির ব্যয় হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত