কুয়েতে বহুতল ভবনে আগুন : নিহত ৪৩

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কুয়েতে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রবাসী হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূলত, আগুন লাগা ভবনটিতে থাকতেনই প্রবাসী কর্মীরা। কুয়েত টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভবনটিতে প্রায় ১৬০ জন বসবাস করতেন। তারা সবাই একটি কোম্পানির কর্মী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের জাতীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরই মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ। এই ট্র্যাজেডির জন্য ভবন মালিকের লোভ ও অবহেলাকে দায়ী করেন তিনি। শেখ ফাহাদ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, রিয়েল এস্টেট মালিকদের লোভ থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

কুয়েত টাইমস জানিয়েছে, ভবনটির মালিকের পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মী এবং যে কোম্পানির কর্মীরা সেখানে থাকতেন, সেটির মালিককেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী। এ আগে গতকাল সকালে দেশটির দক্ষিণ আহমেদি গভর্নরেটের মাঙ্গাফ এলাকার ভবনটিতে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ওই এলাকায় বহু প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত। এ দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি হতাহত হয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে শ্রমিকদের একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শ্রমিকের নাম পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর এবং হেড অব চ্যানসেরি মো. মনিরুজ্জামান।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই খোঁজখবর নিচ্ছেন; ভবনটিতে কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন কি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি হতাহতের খবর নেই। যে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মূলত ভারতীয় শ্রমিকরা থাকেন বলে জানা গেছে।’

বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে রয়েছেন এবং বিষয়টি তদারকি করছেন। কোনো কিছু জানা গেলে, আমরা আপনাদের জানাব।’ এদিকে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অপর একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেটিতে শ্রমিকরা বসবাস করতেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে অসংখ্য শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েক ডজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’

নিহত শ্রমিকরা কী ধরনের কর্মসংস্থানে কাজ করতেন বা তারা কোন দেশের নাগরিক, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি এই পুলিশ কমান্ডার। তিনি বলেন, ‘আবাসনের অত্যধিক কর্মীকে রাখার বিষয়ে আমরা সবসময় সতর্ক করে থাকি। আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি নার্সদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি। তারা আমাদের জানান যে, আহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নেই। তবে আমরা সজাগ আছি এবং খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’