কুয়েতে ভবনে অগ্নিকাণ্ড

হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশি নেই

নিহত ৪৯ জনের ৪০ ভারতীয়

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুয়েতের মাংগাফ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৯ প্রবাসী। এর মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয় নাগরিক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ জন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি ছয় তলা। এনবিটিসি কোম্পানির শ্রমিকদের ক্যাম্প। ভোর ৪টা ২০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ঠিক কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলায় রাখা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

তারা জানান, মুহূর্তের মধ্যে এটি ওপরের দিকে ছড়িয়ে যায়। যেহেতু এই সময় সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল তাই বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলেও বহুতল ভবন হওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য মতে, কুয়েতে যে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনো বাংলাদেশি ছিল- এমন কোনো তথ্য নেই। দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবুল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান ওই আবাসিক ভবনে কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক থাকতেন কিনা, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই। যে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সেখানে থাকতেন, তাদের সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত কোনো চাকরির চাহিদাপত্র ছিল না। তিনি জানান, যেসব হাসপাতালে আহত বা নিহতদের রাখা হয়েছে সেগুলোতে নার্সদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়েছি। কিন্তু কোনো বাংলাদেশির খবর পায়নি। তারপরও দূতাবাস এ বিষয়ে আরো খোঁজখবর নেবে বলে জানান তিনি।

কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি ভবন মালিক এবং গার্ডকে আইনের আওতায় আনার কথাও জানান। উপ-প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আমি পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি লঙ্ঘনকারী ভবনগুলো ঘোষণা ছাড়া ভেঙে ফেলার জন্য। এরই মধ্যে আইন লঙ্ঘনকারী ভবনগুলোর বিষয়ে মাঠ পরিদর্শন শুরু হয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পৌরসভার মন্ত্রী এবং জনশক্তি কর্মকর্তারা। কুয়েতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মারা যাওয়া ৪৯ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪৫ জনকে ঘটনাস্থলে এবং বাকি চারজনকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর মৃত ঘোষণা করা হয়।